।। প্রথম কলকাতা ।।
বিপদের বন্ধুর বিরুদ্ধে মুখ খোলা সহজ কথা নয়, তারপরেও সেই সাহস দেখাচ্ছে ইসরাইল। ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো মার্কিন অস্ত্র তলে তলে পাচার হয়ে যাচ্ছে ইরানে। অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাচ্ছে ইসরাইল। আরও এক নতুন সংঘাতের আশঙ্কা দৃঢ় হচ্ছে। ইরান যা করছে তাতে যখন তখন আগুন জ্বলে যেতে পারে ইসরাইলে। তাহলে, ভয় পেয়েই কী সুর চড়াচ্ছে ইসরাইল? সত্যিই কী ইউক্রেনের যোদ্ধারা দুর্নীতিগ্রস্ত? টাকার লোভে পড়ে সত্যিই কি মার্কিন অস্ত্র পাচার করে দিচ্ছে ইউক্রেন? অনেক বড় অভিযোগ। কোথায় কতদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এই অস্ত্র পাচার? কীসের ভিত্তিতে এতো বড় অভিযোগ করছে ইসরাইল? হাতেনাতে প্রমাণ। বন্ধুর বিপদে গা ঝেড়ে দায় এড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ইউক্রেন? আসল ফ্যাক্টটা জানেন তো? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইসরাইলের মুখ খুলতে পারে বলে দুঃস্বপ্নেও ভাবা যায় না, সেই ইসরায়েল কিনা বিপদের বন্ধুর দিকেই আঙ্গুল তুলছে। তুলতে বাধ্য হচ্ছে। ভয় পেয়েই ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন জোটের অস্ত্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে সুর চড়িয়েছে ইসরাইল। এনেছে ভয়াবহ অভিযোগ। কারণ, পরিস্থিতি দেশটাকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিতে পারে। ইসরাইল বলছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও অপর পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্র তলে তলে দিব্যি পাচার হয়ে যাচ্ছে ইরানে। আর মধ্যপ্রাচ্যের সিংহ ইরান সেইসব অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্র তুলে দিচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ এবং গোষ্ঠীগুলোর হাতে। তাতেই বিপদ বাড়ছে ইসরাইলের। উদ্বেগ বাড়ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস এর। এই মার্কিন অস্ত্র পাচার ইতিহাসে আরেকটা সংঘাতের জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।কারণ এখন, পশ্চিমা বিশ্ব পূর্ব ইউরোপে চলমান সংঘাতের দিকে কনসেন্ট্রেট করছে। আর, সেই ফাঁকেই ঘটে যেতে পারে বিপদ। জানা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ট্যাংক বিধ্বংসী জ্যাভেলিন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উভয়পক্ষের আধা সামরিক বাহিনী ব্যবহার করছে।
এই প্রসঙ্গে ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা বলছেন রুশ বাহিনী মার্কিন অস্ত্র জব্দের পর অন্যত্র পাঠাতে আগ্রহী। মস্কো ও তেহরানের ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কারণেই মূলত এটা করা হয়। কিন্তু, ইউক্রেনের আধা-সামরিক বাহিনী মূলত অস্ত্র পাচার করে অর্থ উপার্জন করতে চাইছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আর, টাকার লোভেই কৃষ্ণ সাগর হয়ে ভূমধ্যসাগর দিয়ে এসব অস্ত্র পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ ইসরায়েল বলছে, এই পরিস্থিতি তাদের জন্য খুব বিপজ্জনক, কারণ ইরান এসব অস্ত্র নিয়ে গবেষণা চালিয়ে তৈরির পদ্ধতি শিখে নিতে পারে। তাছাড়া যদি এসব অত্যাধুনিক অস্ত্র হিজবুল্লাহ, হামাসের হাতে চলে যায় তাহলে আর দেখতে হচ্ছে না। আর, কত সংখ্যক অস্ত্র পাচার হচ্ছে তা নিরূপণ করা কঠিন। কারণ আইডিএফ একাই মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র পরিবহনে নজর রাখে। কিন্তু অনুমান করা হচ্ছে এই অস্ত্র ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। ইঙ্গিত পেয়েছে ইসরাইল। আর এমন একটা সময় এই বিষয়টা সামনে এলো যখন কিনা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। উভয় দেশ নিয়মিত একে অপরকে হুমকি দিচ্ছে। এসব দেখে শুনে যুক্তরাষ্ট্র কী বলছে? ইরানের হাতে মার্কিন অস্ত্র চলে যাওয়ার ফলে উদ্বেগ রয়েছে একথা স্বীকার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা এমন কিছু ঘটছে বলে মানতে নারাজ। বলছে, ওয়াশিংটন ও কিয়েভ পদক্ষেপ করছে যার ফলে অস্ত্রের বেআইনি পাচার বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে। সফলতাও এসেছে। কিন্তু, তারপরেও শান্তিতে নেই ইসরাইল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম