।। প্রথম কলকাতা ।।
COLD AND COUGH: শীত পড়তেই প্রতি ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশির মতো সমস্যা লেগেই রয়েছে। অনেকের আবার শীতে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। ঠান্ডা লেগে সর্দির সাথে নাক বন্ধ আর শ্বাসকষ্টের সমস্যা বহু মানুষের কাছে সাধারণ ব্যাপার। আবহাওয়ার একটু হেরফের হলে কিংবা বেনিয়মে চললেই ঠান্ডা লেগে যায়। এক্ষেত্রে ওষুধ কাজ করে একটু দেরিতে, যার কারণে লম্বা সময় ধরে ভুগতে হয়। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। সমস্যার সমাধান রয়েছে আপনার বাড়িতেই। হেঁসেলে এমন কিছু উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান যা সঠিক ব্যবহারে নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মুক্তি পাবেন।
(১) তেজপাতা কমবেশি প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে। তেজপাতাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি। এটি খুব দ্রুত বন্ধ নাকের সমস্যা কমায় এবং মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনে। ৫ থেকে ৬ টি তেজপাতা দেড় গ্লাস জলে ১৫ মিনিট ধরে ফুটিয়ে সেই জল পান করতে হবে।
(২) নাক বন্ধের সমস্যায় দুর্দান্ত কাজ দেয় কয়েক ফোটা মেনথল। গরম জলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মেনথল দিয়ে একটি তোয়ালে দিয়ে ঢেকে সেই গরম ভাপ নিন। কয়েকবার গরম জলে ভাপ নেওয়ার পর দেখবেন নাক বন্ধের সমস্যা অনেক কমেছে।
(৩) হেঁসেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল রসুন। রসুনে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ। এটি নাক বন্ধের সমস্যা রুখতে দুর্দান্ত কাজ দেয়। মাত্র দুই থেকে তিনটি রসুন সামান্য থেঁতে এক কাপ জলে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। সেই জল ছেঁকে পান করতে পারেন।
(৪) নাক বন্ধের সমস্যায় ভালো কাজ দেয় পাতি লেবু। এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো পাতি লেবুর রস আর এক চা চামচ মধু মিশিয়ে গরম করে অল্প অল্প পান করুন।
(৫) নাক বন্ধ হয়ে শ্বাসের সমস্যায় প্রথমে ড্রপকে বেছে নেবেন না, কারণ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যদি ঠান্ডা ধাত থাকে তাহলে প্রায়ই গরম জলের ভেপার নিন। এছাড়াও নাক বন্ধের সমস্যা দূর করতে কাঁচা হলুদ এবং দুধ মিশিয়ে ফুটিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
শুধু উপকার নয় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। রাতে কিংবা ভোরের দিকে বাইরে বের হলে কান মাথা গলা ভালোভাবে ঢেকে নেবেন। পায়ে মজা ব্যবহার করতে পারেন। যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে রাস্তায় বেরোলে অবশ্যই মাস্ক পড়বেন। ঘুমানোর সময় মাথা একটু উঁচুতে রাখবেন যাতে সাইনাস পরিষ্কার থাকে। শীতে ঠান্ডা জল নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি করবেন না। নাক বন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম