।। প্রথম কলকাতা ।।
Heat rash treatment: গরমে ঘামাচির জ্বালায় নাজেহাল অবস্থা? ঘাড়ে, গলায় সারা গায়ে পিটপিটে ভাব! জ্বালা মেটাতে ভরে ভরে ঢালছেন ট্যালকম পাউডার? কখনও বা খুঁটে দিচ্ছেন নখ দিয়ে। তবে জানেন কি আপনার অজান্তেই হয়ে যাচ্ছে হয়ে চলেছে মারাত্মক ক্ষতি। সামান্য ঘামাচি যে আপনার জীবনে কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে তা আপনার কল্পনারও অতীত! তাহলে কী দিয়ে তাড়াবেন ঘামাচি? রয়েছে উপায়! ভরসা রাখুন এই ম্যাজিক টোটকায়।
গরমের ছুটি মানেই যেন একটা নস্টালজিয়া। দুপুরবেলা ঠাকুমার ঘরে বসে গল্প শোনাটা প্রায় কমবেশি সকলেরই চেনা ছবি। অবশ্য গল্প যতটা না শোনা হত, তার চেয়ে অনেক বেশি হত হইহুল্লোড়। মারামারি ঠেলাঠেলির ভিড়ে আরেকটা ছবিও বড্ড চেনা। অনেক সময়ই ঠাকুমা বলতেন, পিঠের ঘামাচিতে পাউডার লাগিয়ে দিতে বা মেরে দিতে। হয়ত আপনার ছোটবেলাতেও এমন স্মৃতি রয়েছে। তবে জানেন কি, এই ঘামাচি মেরে দেওয়া বা নখ দিয়ে খুঁটে দেওয়া কতটা ক্ষতিকর। এমনকি পাওডারও নাকি তার সহজ সমাধান নয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, ‘সাবধান’! ঘামাচির জ্বালা থেকে বাঁচতে গিয়ে আবার উটকো বিপদ ডেকে আনবেন না যেন। তাহলে ঘামাচি তাড়াতে কী করবেন? কোন উপায়ে মিলবে ঘামাচি থেকে মুক্তি? চিন্তা নেই, উপায় আছে। তার জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকাও খরচ করতে হবেনা আপনাকে। বরং ঘরের এই কয়েকটা উপকরণেই পালাতে পথ পাবেনা ‘ঘামাচি’।
তবে তার আগে জেনে নিন, এই ঘামাচি কী? এবং ঘামাচি তাড়াতে কী করবেন না!
প্রথমেই মনে রাখবেন, ঘামাচি অত্যন্ত সাধারণ একটা বিষয়। কমবেশি আমাদের সকলেরই হয়ে থাকে। ঘামের সাথে ধূলিকণা জমে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেই অংশ দিয়ে ঘাম বের হতে পারে না। যে কারণে সেই অংশটি ফুলে ওঠে। আর সেটিকেই আমরা বলি ঘামাচি।
এখন এই ঘামাচি তাড়াতে গিয়ে আমরা অনেকেই ভরে ভরে পাউডার মেখে থাকি। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তো আরও বেশি করে পাওডার মাখিয়ে দেওয়া হয়। তবে মজার বিষয় হল, পাউডার ঘামাচি তো দূর করেইনা উল্টে রোমকূপ গুলিকে আরও বন্ধ করে দেয়। তাহলে প্রশ্ন হল এর প্রতিকার কী?
বড়দের ক্ষেত্রে একটা ভালো টোটকা হল ঠাণ্ডা জল বা বরফের সেঁক। ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে একটা কাপড়ের মধ্যে কিছু আইস কিউব নিয়ে সেঁক দিতে পারেন। এতে তাৎক্ষণিক আরামও মিলবে এবং ঘামাচিও দূর হবে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই টোটকা কাজে লাগাতে যাবেন না। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তারা বরফের পরিবর্তে ক্যালামাইন লোশন মাখতে পারেন। এতেও বেশ ভালো কাজ হয়।এছাড়াও অ্যালোভেরা জেলও খুব কাজের। ঘামাচির উপর অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। তবে আরও ভালো হয় যদি নিমপাতা ফোটানো জল দিয়ে স্নান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘামাচি, র্যাশ, ব্রণ, সমস্ত সমস্যা থেকেই রেহাই মিলবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম