।। প্রথম কলকাতা।।
New Year Celebration : একটা সম্পূর্ণ বছর শেষ। নতুন বছরে পদার্পণ করেছে বিশ্ববাসী । গতকাল রাতে প্রত্যেকেই ঘড়ির কাঁটায় বারোটা বাজার অপেক্ষা করছিলেন । আর যখন সেই সময় এল তখন বর্ষবরণের উন্মাদনা ( New Year Celebration) পৌঁছে গেল একেবারে শিখরে। শুরু হল শব্দবাজির ( Firecracker) তাণ্ডব । একই সঙ্গে পাল্লা দিল ডিজের শব্দ। সবমিলিয়ে শহর থেকে শহরতলিতে বর্ষবরণের রাত নাকি দীপাবলির রাত তা বোঝা একপ্রকার মুশকিল হয়ে ওঠে। এমনকি ওই তীব্র বাজির শব্দ থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল চত্বরও ।
বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের লগ্নে মহানগরী যে বাঁধনছাড়া আনন্দের জোয়ারে ভাসবে তা হয়তো আগেই বুঝতে পারা গিয়েছিল। তাই গোটা শহর জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তার ( Tight Police Security) ক্ষেত্রে কোন রকম কমতি রাখা হয়নি। একইসঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য এলাহি আয়োজন করেছিল নাইট ক্লাব থেকে পাব গুলি । সেখানে ছিল গান-বাজনা থেকে খাওয়া-দাওয়ার বিরাট ব্যবস্থা। এমনকি বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় থার্টিফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান করা হয় । সন্ধ্যা থেকেই তাদের গান বাজনার আসর জমে । আর মধ্যরাতে তা রীতিমতো নাগালের বাইরে চলে যায় ।
শহর কলকাতায় রবিবার প্রায় সারারাত ধরে যে পরিমান শব্দবাজি ফাটানো হয় তাতে শব্দ দূষণের পাশাপাশি বায়ু দূষণকেও ( Air Pollution) বেশ খানিকটা উসকে দেওয়া হয়েছে । সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাটুলি কসবা বিরাটি এই সকল এলাকা গুলিতে সবথেকে বেশি শব্দের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এছাড়াও বাগবাজার, সল্টলেক ,নিউমার্কেট, টালিগঞ্জ প্রত্যেকটি জায়গাতেই শব্দের তীব্রতা ছিল তাই ৬৫ ডেসিবেল এর ওপরে । যেখানে নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী হাসপাতাল চত্বরে রাত দশটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত শব্দের তীব্রতা ৪০ ডেসিবেলের বেশি হওয়া যাবে না , সেখানে গতকাল আরজিকর হাসপাতাল চত্বরে এই তীব্রতা ছিল ৬১.৫ ডেসিবেল।
একই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে সামনেও । যেভাবে আতশবাজি এবং শব্দবাজি পোড়ানো হয় তাতে কলকাতার বাতাসের মান যে কিছুটা খারাপ হয়ে গিয়েছে তা বলাই বাহুল্য । গত দুটি বছর করোনার বিধি-নিষেধের কারণে সেই ভাবে নববর্ষ পালন করা যায়নি ঠিক কথা। কিন্তু এই বছর সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে উৎসাহীদের উৎসাহ। পরিবেশ কর্মীদের তরফ থেকে আগেই বড়দিন এবং নববর্ষকে উপলক্ষ্য করে হওয়া পিকনিক, উৎসব এই সমস্ত ক্ষেত্রে শব্দ দূষণ ( Sound Pollution) রুখতে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু তারপরেও বর্ষবরণের রাতে যেভাবে ডিজের শব্দে কাঁপলো কলকাতা তাতে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম