।। প্রথম কলকাতা ।।
আয়রনম্যানের মতো ইন্ডিয়ান আর্মি উড়বে আকাশে।
রাজনাথ সিং রেডি থাকার অর্ডার দিল ভারতীয় সেনা কে। দুর্গম পাহাড় হোক বা খাড়ি কপ্টার থেকে সোজা ঝাঁপ শত্রুর ডেরায়। হিমাচলে কোন গোপন ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের? শত্রুদেশের স্থলসেনার রাতের ঘুম উড়বে এবার। কখন কোথায় ঝুপ করে ঢুকে যাবে ভারত কেউ জানে না। আকাশে কীভাবে উড়বেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা? এ কোন পাখার ব্যবস্থা করা হল এটা কিন্তু মাধ্যাকর্ষণ বিরোধী কোনও জেটপ্যাক নয়। সোজা বায়ুসেনার কপ্টার বা জেট থেকে ঝাঁপ দিতে হবে সেনাকে। আকাশে ভাসতে ভাসতেই শত্রুর ঘাঁটিতে পৌঁছে যাবে ইন্ডিয়ান আর্মি। এ কোন নতুন প্রযুক্তি আনল ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক? ৭ অক্টোবর হামাসের ইজরায়েল হামলার পরেই ভারতীয় সেনাকে বিশেষ বার্তা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজনাথ সিং যা বলেছেন সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে সেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায় সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত আক্রমণের জন্যও তৈরি থাকতে হবে ভারতীয় সেনাকে।
সেজন্যই কি এবার নয়া ট্রেনিং ইন্ডিয়ান আর্মির স্থলসেনাকে, ভার্টিক্যাল উইন্ড টানেলে টিকে থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জওয়ানদের। ভার্টিক্যাল উইন্ড টানেল কী? কোনওধরণের হামলা বা যুদ্ধে এর কাজ কী?
ভার্টিক্যাল উইন্ড টানেল এমন এক সিমুলেটর যেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্যারা এসএফের জওয়ানরা। অনেকটা স্কাইডাইভিংয়ের স্কিল শেখানো হয় এতে। যাতে এখানে কমব্যাট ফ্রি ফল(CFF) স্কিল বলা হচ্ছে মাঝআকাশে কোনও বিমান থেকে ঝাঁপ দিতে হলে কীভাবে স্কাইডাইভিংয়ের মাধ্যমে নীচে নামবে সেনা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্পেশাল ফোর্সের জওয়ানদের আমরা প্যারা এসএফ বলে ডাকি। এর মানে প্যারাসুট রেজিমেন্ট থেকে আসে এরা। অপারেশন করার সময় প্যারাস্যুটে করেই শত্রুর ডেরায় ঢোকে। প্যারা এসএফকে মূলত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী, বন্দিদের উদ্ধার, অপ্রচলিত যুদ্ধ, বিশেষ পুনরুদ্ধার, বিদ্রোহ বিরোধী এবং সরাসরি পদক্ষেপ অপারেশনে নামানো হয়।
একেবারে গ্রাউন্ডে যাওয়ার আগে এমন এক সিমুলেটরের দরকার যেখানে প্যারাস্যুট করে মাটিতে নামার জন্য যে ট্রেনিং সেটা তারা আগেই নিতে পেতে আর সেই প্রশিক্ষণ নেওয়ারই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে এবার। হিমাচলপ্রদেশে তৈরি করা এই ভার্টিক্যাল উইন্ড টানেলে। একে VWT ই বলা হচ্ছে। এতে জওয়ানরা বুঝতে পারবে প্লেন না প্যারাসুট থেকে ঝাঁপ দেওয়ার সময় বাতাসের চাপের মোকাবিলা কোন কৌশলে তারা নিচের দিকে নেমে যাবেন। আর এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে কতটা উন্নত হচ্ছে ভারতীয় সেনার ট্রেনিংয়ের পদ্ধতি। বর্তমানে সীমান্তে মারাত্মক অ্যাকটিভ রয়েছে ভারতীয় সেনা। সেইসঙ্গে কাশ্মীর সীমান্তের পাশাপাশি জলপথেও জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ আটকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। তাছাড়াও পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকেও যেন কোনওমতেই জঙ্গি অনুপ্রবেশ না ঘটে তার জন্য চলছে কড়া নজরদারি। ৭ অক্টোবর ইজরায়েল হামলার পর সূত্রের খবর এই হামলা নিয়ে আলোচনায় বসে ভারতের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র বিভাগের প্রধান, গোয়েন্দা বিভাগ ও বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। তারপর বেশ কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে ড্রোন-সহ একাধিক অস্ত্র কিনেছে ভারত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম