।। প্রথম কলকাতা ।।
Iran: বিশ্বের অন্য কোনও দেশের হাতে যা নেই, এবার তেমন বিমানবাহী রণতরী ইরানের হাতে। সামরিক ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী, কামাল করবে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিধর দেশ ইরান। একেবারে ইউনিক, মডেল এর এই বিমানবাহী রণতরী তাক লাগাবে ক্ষমতায়। নৌ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে দেশটা। টেনশন বাড়ছে শত্রুদের।
শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুখিয়ে রয়েছে ইরান। “মধ্যপ্রাচ্যের সিংহ” বলা হয় ইরান কে। সেই ইরানই আরও বড় সামরিক অগ্রগতির পথে হাঁটছে। হ্যাঁ ইরান দাবি করেছে, খুব শীঘ্রই বিমানবাহী রণতরী উদ্বোধন করবে তেহরান। না, ভাববেন না বাকি দেশেও তো আছে। কারণ ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ড কর্পস মানে আইআরজিসির নৌ ইউনিটের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা যে বিমানবাহী রণতরী তৈরি করছেন, তা বিশ্বের অন্য কোনো দেশের হাতে নেই। এ ধরনের কোনো রণতরী এই প্রথম নির্মাণ করছে ইরান। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গুলোর মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ এর সিদ্ধান্ত। ক্ষমতা হবে মারাত্মক। অভূতপূর্ব ক্ষমতা নিয়ে এই রণতরীটা সাগরে ভেসে বেড়াবে। ইরানি বিমানবাহী এই রণতরী যুদ্ধবিমান বহনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের উপযোগী নৌযান বহন করতে পারবে। আসলে, অভিজ্ঞতার দাম আছে তা জানে ইরান। তাই এর আগে নির্মিত বিভিন্ন যুদ্ধ জাহাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন রণতরী তৈরি করা হচ্ছে। ইরানের নির্মিত যে যুদ্ধ জাহাজগুলো খুবই ভালোভাবে কাজ করছে এই মুহূর্তে সেই গুলিকে ফলো করা হচ্ছে।
কোনও খামতি রাখতে চায়না ইরান। তাই, বিশ্বের যে কোনও দেশের নৌবাহিনীতে অন্যতম শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয় যে বিমানবাহী রণতরী, তাতেও তাক লাগানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছে এই দেশ। মহাসাগরীয় অঞ্চল বা আন্তর্জাতিক কোনো অভিযানে বিমানবাহী রনতরীর যে কোনো বিকল্প নেই তা কে না জানে। সেক্ষেত্রে ইরানের নৌ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে চায় আইআরজিসি। ইরানের নৌবাহিনী যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ তা জানিয়েছেন আইআরজিসির আইআরজিসির নৌ ইউনিটের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি। ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, যে কোনও ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরানের নৌবাহিনী। যুদ্ধ হলে কী ধরনের সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে সেই কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সরঞ্জাম নির্মাণ করা চলছে। এককথায় নিজেদেরকে আরও বেশি শক্তিশালী করার চেষ্টা চালাচ্ছে ইরান। সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ইরান যেকোনো দ্বিধা করছে না সেটা একেবারে জলের মতো পরিষ্কার। এসব সক্ষমতা সম্পূর্ণ রূপে প্রতিরক্ষার স্বার্থে তৈরি। যা কখনোই আপোষ বা আলোচনার বিষয় হবে না ইরানের কাছে।
সামর বিশেষজ্ঞদের মতে, সামরিক শক্তিতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির অবস্থান খুবই শক্ত। তাই সামরিক শক্তিতে শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নেওয়ার ক্ষমতা আছে ইরানের। তাই সামরিক শক্তিতে ইরানের এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম