।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনে ঢুকে এয়ার স্ট্রাইক করবে ভারতীয় এয়ারফোর্স। ইজরায়েলের এ কোন ক্ষেপনাস্ত্র কিনে ফেলল দিল্লি। LACতে বেজিং একের পর এক নির্মাণ গুড়িয়ে দেওয়া হবে। টার্গেটকে ছুটিয়ে খতম করে এই মিশাইল। চীনের এতদিনে পরিশ্রম চোখের নিমেষে হবে শেষ। ইজরায়েল যে এই মিশাইল পাঠাবে ভারতকে ঘুনাক্ষরেও জানতে পারেননি জিনপিং। লাদাখের ওপারে পিএলএ আর্মির একের পর এক বাঙ্কার। ভারতের এয়ার ফোর্স যখন তখন ঢুকে গুড়িয়ে দিতে পারে কেউ জানবেও না। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে ইজরায়েলের স্পাইক এনএলওস মিশাইল অলরেডি পৌঁছে গিয়েছে ভারতের মাটিতে। বায়ুসেনার শুধু এবার খেলা দেখানোর পালা। কেন এতটা খতরনাক মনে করা হয় স্পাইক এনএলওসকে? বলা হয় শত্রুকে ছুটিয়ে মারে এই ক্ষেপনাস্ত্র।
স্পাইক এনএলওসকে নন লাইন অব সাইট বলা হয়। ৩০ কিমি দূরে লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে। তবে এর বিশেষত্ব আসলে অন্য জায়গায়। এই ক্ষেপনাস্ত্র ও টার্গেটের মাঝে কোনও বাধা এলে সেই বাধা অতিক্রম করেই লক্ষ্যবস্তুকে খতম করে স্পাইক এনএলওস। টার্গেট কোনওভাবে স্থান বদলালে এই ক্ষেপনাস্ত্র তা ট্র্যাক করতে পারে। তারপর সেখানে গিয়েই টার্গেটে হামলা। তাহলে চীন নাকি পাকিস্তান ভারতের ইমিডিয়েট টার্গেট এবার কে?প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন পৃথিবীর বড় বড় যুদ্ধে আজপর্যন্ত যে যে দেশ ইজরায়েলের এই মিশাইল ব্যবহার করেছে। তারা তারাই ট্যাকটিক্যাল অ্যাডভান্টেজ পেয়েছে। তবে ভারত এখনও পর্যন্ত সীমিত সংখ্যাতেই অর্ডার করেছে এই মিশাইল।
রিপোর্ট বলছে ভারতীয় এয়ারফোর্স এই মিশাইল এমআই১৭ ও অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের লাগানো হবে। তথ্য বলছে ২০১৮ সালেও ভারত ব্যাপক পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ইজরায়েল থেকে কিনেছিল। তাতে বিপুল সংখ্যক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল, রকেট লঞ্চার, বোমা, গ্রেনেড লঞ্চারও ছিল বলে খবর। প্রশ্ন উঠছে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে যেভাবে কূটনৈতিক টানাপোড়েন বাড়ছে তাতে বেজিংয়ের সতর্ক থাকা উচিত। কারণ রিপোর্ট বলছে এলএসির আশেপাশে যেভাবে পিএলএ আর্মি বাঙ্কার তৈরি করছে বা ওয়াচটাওয়ার তৈরি করছে তাতে গত ২ বছর ধরেই ভারতীয় বায়ুসেনা এই মিশাইল কিনতে আগ্রহী ছিল। এমনকি পরবর্তীকাল এই মিশাইল ভারতে তৈরি করার মতোও চিন্তাভাবনা চলছে। ফাইনালি ভারতের হাতে পৌঁছে গেল ইজরায়েলি ব্রহ্মাস্ত্র৷ চীন সতর্ক মারাত্মক লেভেলে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম