।। প্রথম কলকাতা ।।
Bullet Train In India: সমুদ্রের বুক চিরে কংক্রিটের ট্র্যাক? ভারত বানাচ্ছে গোপন খাজানা। সাগরের কত তলায় বুলেট ট্রেনের এলিভেটেড করিডর? সোনায় মোড়ানো এই ব্রিজেই লুকিয়ে আসল রহস্য? হাঁ করে তাকিয়ে দেখছে গোটা বিশ্ব। ২ মিনিটেই মুম্বাই টু গুজরাট? সত্যিই কি ৬ টা নদী সেঁধিয়ে যাবে বুলেট ট্রেনের গায়ে? আরও একবার প্রমাণিত মোদী জমানায় সব অসম্ভবই সম্ভব ভারতে।সাগরের ভেতর দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন। জানেন কিভাবে জলের তলায় রেল লাইন বিছিয়ে দিচ্ছে ভারত? বিশেষভাবে তৈরি ওই পথের নাম মুম্বই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডোর। কবে থেকে সমুদ্রের ভেতর টানেল এর মধ্য দিয়ে ছুটবে হাই স্পিড বুলেট ট্রেন? ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড বলছে, এই প্রজেক্টের জন্য ১০০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ব্রিজ তৈরির কাজ কমপ্লিট। যে ভায়াডাক্ট ব্রিজ নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। এই নির্মীয়মাণ ভায়াডাক্ট গুজরাটের ছয়টি নদীর ওপরে শোয়ানো রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভালসাদ জেলার পার এবং আওরঙ্গা, নভসারি জেলার পূর্ণা, মিন্ধোলা, অম্বিকা এবং ভেঙ্গানিয়া।
৪০ মিটার দীর্ঘ “ফুল স্প্যান বক্স গার্ডার” এবং “সেগমেন্টাল গার্ডার” টেকনিক ব্যবহারের মাধ্যমেই ১০ গুণ দ্রুত গতিতে ১০০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট তৈরির মাইলফলক অর্জন করেছে ভারত। ১০০ কিলোমিটারের ভায়াডাক্টটি মাত্র ৬ মাসে শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে ২৩০ কিলোমিটার পিয়ারের কাজও শেষ। পিয়ার হলো থামের মতো একটি অংশ, যেটি ব্রিজের দু’টো দিক ধরে রাখে। শুধু তাই নয়, জাপানি শিনকানসেন টেকনোলজিতে ব্যবহৃত রিইনফোর্সড কংক্রিট মানে আরসি থেকে মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডোর ট্র্যাক সিস্টেমের জন্য ট্র্যাক বেড স্থাপনের কাজও শুরু হয়ে গেছে সুরাটে এর বিশেষত্ব কি? ১৯৬৪ সাল থেকে এই প্রযুক্তিতে কাজ হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই শিনকানসেন প্রযুক্তিতে যত প্রকল্প হয়েছে, সেগুলোতে দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। আন্দাজ করতে পারছেন তো সাগরের তলা দিয়ে বুলেট ট্রেন চলার টেকনোলজি টা কিন্তু মারাত্মক। মুম্বই টু আহমেদাবাদ, এরমধ্যে থাকছে তিনটি স্টপেজ। একটি মহারাষ্ট্রে এবং দুটি গুজরাটে। গুজরাতের একটি হবে সুরাতে এবং অন্যটি সবরমতীতে। ভিরারের দিকে থানে খাঁড়ির কাছে তৈরি হচ্ছে লম্বা টানেল। ২১ কিমি দীর্ঘ জলের নীচ দিয়ে যাওয়া সুড়ঙ্গে সিঙ্গল-টিউব টুইন-ট্র্যাক কাঠামো থাকবে।
সমুদ্রের নোনতা জল এই পাইপ লাইনে কোনভাবেই এফেক্ট করতে পারবে না এমন ভাবে তৈরি করা হবে টানেল। হাই-স্পিড বুলেট ট্রেনটি মাত্র ৩ ঘণ্টায় মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পৌঁছে যাবে। প্রতি ঘণ্টায় এই ট্রেনের গতি থাকবে ৩২০-৩৫০ কিলোমিটার। ভুজ এসি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে যে পথ যেতে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘন্টা বলতেই হচ্ছে, মুম্বাই টু আহমেদাবাদ আন্ডার ওয়াটার রেললাইনে মডার্ন টেকনোলজির ব্যবহার দেবে এক্সট্রা মাইলেজ। জানিয়ে রাখি মুম্বই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল প্রকল্পের এলিভেটেড করিডোরের ২০ শতংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোট ১০০টি এলিভেটেড করিডোর এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে সবমিলিয়ে জোরকদমে চলছে কাজ।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেই মুম্বই থেকে আমেদাবাদ রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখার পর শেষ পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয় তাতে। প্রকল্পের আনুমানিক খরচ তখন ধার্য করা হয়েছিল ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা। ৮ বছরে শেষ হওয়ার কথা ছিল সেই প্রকল্পের কাজ। অর্থাৎ, এই বছরই চাকা গড়ানোর কথা ছিল বুলেট ট্রেনের। তবে এখনো পুরো কাজ শেষ হতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যে বুলেট ট্রেন চালু হলে নতুন এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবে ভারত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম