।। প্রথম কলকাতা ।।
Onion Crisis in Bangladesh: রাতারাতি পিয়াঁজের দাম বাড়ছে বাংলাদেশে। দেশটার মানুষ রাত্রে ঘুমাতে যাচ্ছেন পিঁয়াজের এক দাম শুনে, ঘুম থেকে উঠে দেখছেন এক লাফে বেড়ে গিয়েছে সেই দাম। প্রায় দ্বিগুন থেকে তিনগুণ পর্যন্ত। কেউবা অত্যাধিক দামের কারণে পিঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। আবার কেউ বা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পিয়াঁজ কিনছেন। রান্নাঘরের বিভিন্ন পদের স্বাদ বাড়াতে অমূল্য একটা উপাদান বলে মনে করা হয় পিঁয়াজকে সেখানেই যদি টান ধরে, তাহলে বাঙালির খাওয়া ভালো মতো জমবে কীভাবে? ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, ভারত থেকে বাংলাদেশে পিয়াঁজ পৌঁছেছে। কিন্তু তাও দেশটাতে দাম কমার নাম গন্ধ পর্যন্ত নেই। ইতিমধ্যেই দেশটার বাজারে ঢুকতে শুরু করেছেন নতুন পিয়াঁজ। কিন্তু কমছে না পুরনো পিয়াঁজের দাম। বাংলাদেশের কৃষি সচিব জানিয়েছেন, গ্রীষ্মকালীন পিয়াঁজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা আরো বাড়ানো হবে। কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে। বিশেষ করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, গ্রীষ্মকালীন পিয়াঁজের উপর। কৃষকদের বীজ থেকে শুরু করে সার দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। ইতিমধ্যেই মিলছে তার সুফল।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম যুগান্তরের রিপোর্ট বলছে, ভারত পিয়াঁজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঠিকই। তারপরেও কিন্তু স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে ৭৪৩ টন পিঁয়াজ। গত শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৬ টি ট্রাকে করে সেই পিয়াঁজ বাংলাদেশে ঢোকে। আসলে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ভারতীয় পিঁয়াজ কেনার জন্য যে এলসি করেছিল সেগুলোই এখন যাচ্ছে। তবে নতুন করে কোন এলসি পাওয়া যাবে কিনা সেই বিষয়ে আপাতত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ৭ই ডিসেম্বর থেকে আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত ভারত সরকার পিয়াঁজ রপ্তানি করবে না বলেই জানিয়েছে। যার এফেক্ট কিছুটা পড়েছে বাংলাদেশের উপর। কারণ বাংলাদেশ কাঁচা লঙ্কা, পিয়াঁজ, আলু থেকে শুরু করে বহু পণ্যের ক্ষেত্রে ভারতের উপর নির্ভরশীল। যখনই পণ্যের দাম লাগাম ছাড়া হয়, তখনই অস্থির বাজার সামলাতে আমদানি করে ভারত থেকে। যেহেতু দুটি দেশ একদম কাছাকাছি, স্থলবন্দরের মাধ্যমে খুব সহজেই কাঁচা পণ্য আমদানি রপ্তানি করা যায়। আপাতত বাংলাদেশের পিয়াঁজের দরে কবে যে লাগাম টানবে, তার ইঙ্গিত এখনো মেলেনি। অপরদিকে নাভিশ্বাস উঠছে দেশটার হেঁসেলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম