৷৷প্রথম কলকাতা৷৷
Indian Navy: ভারতে জলপথ দিয়ে দেশে ঢোকার ছক করছে জঙ্গি দল৷ সম্প্রতি ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ তাহলে কি আবার ২৬/১১ মত বড় হামলা হওয়ার আশঙ্কা? না, সেই আশঙ্কা উড়িয়ে ভারতীয় নৌসেনা জলে নামিয়ে দিল নতুন দানব৷ ভারতের সমুদ্র সীমানার আশেপাশে মাছিও গলতে পারবে না এবার৷
স্থলসীমান্ত দিয়ে ঢোকা কোনওভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছে না তাই টার্গেট সমুদ্র৷ ঠিক যেমনভাবে নিরাপত্তায় ছিদ্র খুঁজে সমুদ্রপথে ছোট্ট অথচ দ্রুতগামী নৌকা বা ট্রলারে চেপে মায়ানগরীতে ঢুকে পড়েছিল জঙ্গি আজমল কাসভ ও তার দলবল। তারপর ঘটে গেছিল ছাব্বিশ এগারো৷ এবার শত চেষ্টা করলেও তা সম্ভব নয়৷
ভারতের জলসীমায় সন্দেহজনক কোনও কিছু দেখলেই মূহুর্তের মধ্যে ঝাঁঝড়া করে দেবে ভারতীয় নৌসেনার আজুবা ‘আইএনএস খঞ্জর’৷ লাদাখকে যেমন অত্যাধুনিক বাঙ্কারের সুরক্ষা কবজে ঢেকে ফেলা হয়েছে৷ তেমনই এবার জলপথেও সূদুর জাল বিছিয়ে দিল ইন্ডিয়ান নেভি৷ শত্রুর বুকে কাঁপন ধরানোর মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র সম্ভারে পরিপূর্ণ ‘আইএনএস খঞ্জর’৷ জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বা ‘অ্যান্টি শিপ মিসাইল’ থেকে নিজেকে বাঁচাতে খঞ্জর ব্যবহার করে ‘AK-630’ কামান৷ ৩০ মিলিমিটারে সোভিয়েত জমানার এই স্বয়ংক্রিয় কামানটি প্রতি মিনিটে চার থেকে পাঁচ হাজার রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে পারে শত্রুকে টার্গেট করে।
শত্রুদেশের যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশ সীমানায় ঢুকলে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূর থেকেই দেখতে পেয়ে যাবে খঞ্জর৷ রাডার ও ইলেকট্রো অপটিক্যাল সিস্টেমের মদতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে দিন বা রাতে কাজ করতে সক্ষম ‘AK-630’৷ আর কোন সন্দেহজনক নৌকা জলসীমায় ঢুকলে তো কথাই নেই৷ প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূর থেকেই ‘আইএনএস খঞ্জর’ চিনতে পারে নৌকা৷ ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট যে খবর উঠে আসছে তা চাঞ্চল্যকর৷ সুন্দরবনের খাঁড়িগুলির জটিল জাল বেয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে জঙ্গি নৌকা তাই বঙ্গোপসাগরকে এ টু জেড নিজের মুঠোয় রাখছে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী ও নৌসেনাও।
জানেন বাকি রণতরীর থেকে ঠিক কোন গুণটা আলাদা করে রাখে মিশাইল করভেট ‘আইএনএস খঞ্জর’কে? এই জাহাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অস্ত্র হচ্ছে ‘AK-176’ ন্যাভাল গান বা বন্দুক৷ সমুদ্রে জঙ্গিদের স্পিডবোটগুলিকে মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। চোখের পলকে ১২০ রাউন্ড গোলা ছুঁড়তে পারে এই হাতিয়ার৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মানে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারে মধ্যে ‘খঞ্জর’-এর অগ্নিবৃষ্টিতে পুড়ে খাক হয়ে যাবে জঙ্গিদের নৌকা। খঞ্জরে থাকা টেলিভিশন টার্গেটিং ও লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডারের মদতে অস্ত্রটির চালক ক্যাবিনে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে হামলা চালাতে পারেন৷
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, সুন্দরবন, বঙ্গোপসাগর টার্গেট এর মানে বাংলা হয়ে ভারতে ঢোকার বড় চান্স৷ এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, বৃহস্পতিবার কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপইয়ার্ডে হাজির হয় ‘খঞ্জর’। থাকবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রায় ৩ দশক আগে কলকাতার গার্ডেনরিচেই তৈরি হয়েছিল ‘আইএনএস খঞ্জর’৷ এবার নিজের সর্বশক্তি দিয়ে বঙ্গোপসাগরকে আলগে রাখছে খঞ্জর৷ শত্রুর এগোনো মুশকিলই নয় না মুমকিন৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম