।। প্রথম কলকাতা ।।
হাসিনার দেশে ভারতের পেঁয়াজই শেষ ভরসা। ভারতের কাছে পেঁয়াজ রপ্তানি স্বাভাবিক করার আবেদন হাসিনা সরকারের। পেঁয়াজের দামে চোখের জল ঝড়ছে বাংলাদেশীদের। নির্বাচনের আগে পেয়াঁজের দামে লাগাম টানাই হাসিনা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ট্যাক্স তুলে নেওয়ার অনুরোধ! বন্ধু বাংলাদেশকে কি খালি হাতে ফেরাতে পারে ভারত? বন্ধু না দেশ, ব্যালেন্সের স্ট্র্যাটেজি নেবে মোদী সরকার? বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার গরম।
ট্যাক্স চাপিয়েছে ভারত, আর পোয়াবারো বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের। চারিদিকে বলাবলি হচ্ছে, লেখালেখি শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশে পেঁয়াজে নাকি হাত দেওয়াই দুষ্কর। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকার নিল বড় পদক্ষেপ। উপায় না পেয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি স্বাভাবিক করার জন্য ভারত সরকারের কাজে আর্জি জানাল বাংলাদেশ। রাজস্থানের জয়পুরে জি ২০-র বাণিজ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক করেন ভারতের পীষূষ গয়াল এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। সেখানেই এই আবেদন জানান বাংলাদেশের মন্ত্রী। প্রতিশ্রুতি মতো বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো অবাধে রফতানির বিষয়ে ভারত যেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়, এটাই চাইছে হাসিনা সরকার! বাংলাদেশে রফতানির ক্ষেত্রে পেঁয়াজের উপর ট্যাক্স প্রত্যাহারের আর্জিও জানানো হয়েছে ভারতকে। বন্ধুদেশের সমস্যা থেকে মুখ ফেরায়নি ভারত। তবে, জানিয়ে দিয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রাখতে ভারতকেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কিন্তু, বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পালন করা হবে।
কথা দিয়ে কথা রাখতে জানে ভারত। এবার আবহাওয়ার কারণে পেঁয়াজ চাষ ভাল হয়নি খুব একটা। তাই রফতানিতে লাগাম পরিয়ে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই কিছু ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে ভারত সরকার। তবে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলেই আশ্বস্ত করেছে দেশটা। মনে করিয়ে দিই? গত বছর ভারত কয়েক ঘণ্টার নোটিসে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেটাই তো স্বাভাবিক, কারণ বাংলাদেশের চাহিদার ৪০-৪৫ শতাংশই মেটায় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। সেই সময়ে দুই দেশ আলোচনা করে ঠিক করে, যে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বাংলাদেশে যায়, সেগুলো রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলেও পড়শি দেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। ভুটানের জন্য অলরেডি সেই ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ঠিক হয় কোন কোন পণ্য এই তালিকায় থাকবে, কী ভাবে নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেবে ভারত, তা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কিন্তু তার আগেই গত সপ্তাহে পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক আরোপ করতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি। আর তাতেই বড়সড়ো এফেক্ট পড়ে যায় বাংলাদেশের পেঁয়াজ বাজারে। দিনে দিনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।
পাইকারিতে শতক হাঁকানোর পথে পেঁয়াজ। কোনো দোকানে পেঁয়াজের কেজি ৮৫, আবার কোথাও ৯০ টাকা।
খুচরোয় গুনতে হচ্ছে আরো ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি। যেখানে পেঁয়াজে হাত দেওয়াই দুষ্কর। সেখানে ১০-১৫ কেজির কমে বিক্রি করছেন না কেউ কেউ। ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে শুরু হচ্ছে তর্কবিতর্ক। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। যদিও কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে ভারত ছাড়াও আরো নয় দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বাংলাদেশে। তালিকায় রয়েছে চীন,মিশর,তুরস্ক, পাকিস্তান কাতার সহ ৯ দেশ। কিছু পেঁয়াজ আমদানিও হয়েছে কিন্তু তারপরেও পেঁয়াজ নিয়ে কালোবাজারি থামছেই না। ফলে বাধ্য হয়ে ভারতের পেঁয়াজই বাংলাদেশের কাছে শেষ ভরসা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম