।। প্রথম কলকাতা ।।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার ঘুরিয়ে দিল ভারতের একটা স্টেপ। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ট্যাক্স চাপাতেই, বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। তাহলে কী পেঁয়াজ রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেবে ভারত? পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে বাংলাদেশে টেনশন বাড়ছে। ভারতের পেঁয়াজের উপর বাংলাদেশ প্রচণ্ড নির্ভরশীল। এফেক্ট পড়তে চলেছে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশেও। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কাই কী সত্যি হবে? সত্যিই কী ভারতের পেঁয়াজের জন্য ভুগবে বাংলাদেশ? টোম্যাটোর মতোই ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দামও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেনা তো? ভারতে পেঁয়াজের দামে এখনও আগুন লাগেনি। সিচুয়েশন কন্ট্রোলে রাখতে শক্ত হাতে হাল ধরলো ভারত। পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ ট্যাক্স চাপিয়েছে মোদী সরকার। দেশের মানুষের কথা ভেবেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত।
আর এতেই বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে দেশি হোক বা আমদানি করা। যে আড়তদার প্রতি ৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৩৮০ টাকায়, সেই আড়তদারই দুদিনের ব্যবধানে দাম হাঁকিয়েছে ৫০০ টাকা। বেশিরভাগ আড়তদার ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। খুব অল্পজনকেই দেখা গেছে ৩৮০ টাকা পাল্লা হিসেবে পেঁয়াজ বিক্রি করতে। আমদানি করা পেঁয়াজেও একই ছবি। ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি পাল্লা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা পাল্লা হিসেবে।
কেন পেঁয়াজের দাম বেড়েছে? প্রশ্নের উত্তরে মুখে মুখে ফিরছে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তার এফেক্টে বাংলাদেশেও দাম বাড়ছে। যদিও, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে দেশে পেঁয়াজের সংকট আছে। আগামী দুই-তিন মাস পেঁয়াজ ব্যপকভাবে বাংলাদেশকে ভোগাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকেই বলাবলি করছে, লেখালেখি হচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়কে মে মাসের শুরুতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল আমদানির অনুমতি দিতে, কিন্তু তারা সেটা দেয়নি। উল্টে বলেছে, দেশে পেঁয়াজের অভাব নেই। তাই যদি হয়, তাহলে একদিনের ঘোষণাতেই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেন এত বেড়ে গেল? উঠছে প্রশ্ন
বাংলাদেশের অনেকেই আশঙ্কা করছে ভারত পেঁয়াজের উপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারে নেক্সট স্টেপে। যদিও, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় এসব নিয়ে চিন্তিত নয়। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশে এখনও বড় পেঁয়াজের মজুদ আছে। কাজেই পেঁয়াজের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না। কয়েকদিন পর দাম কমে আসবে, আশাবাদী তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন তুরস্ক, মিশর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করা হবে। এদিকে ভারত এ বছরের শেষ দিন পর্যন্ত, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিধি জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত সরকারের বিশেষজ্ঞেরা আশঙ্কা করছেন, সেপ্টেম্বরেই পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁতে পারে। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপদে বিপদে ভারত বাংলাদেশ এর পাশে থাকে, এটা যেমন ঠিক তেমনই পেঁয়াজ নিয়ে যাতে নিজের দেশের মানুষকে সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই জন্যই রফতানি শুল্কের দাওয়াই। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়। পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের উপর বাংলাদেশের পাশাপাশি নির্ভরশীল নেপাল, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কাও তাই, যদি ভারত আচমকা পেঁয়াজ রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় তাহলে বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশগুলোতে অবশ্যই বড়সড় এফেক্ট পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বাকিটা সময় বলবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম