।। প্রথম কলকাতা ।।
বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে আকাশ পথে নয় পাকিস্তানের চিন্তাভাবনা ছুঁতেই পারবে না ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স এই লেভেল। নয়া ডকট্রিনে এল নয়া রণনীতি। জানলে অবাক হবেন বড় ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বায়ুসেনা আকাশপথে দেশকে রক্ষা করে এতদিন এটাই জেনে এসেছেন তো? ভারতের বায়ুবাহিনী এবার বিশ্বকে চমকে দেওয়ার প্ল্যান করছে শুধু ফাইটার জেট আর অস্ত্রই নয় এবার মহাকাশে হবে অন্য খেলা।
অনেকেরই শুনতে অবাস্তব লাগলেও বিভিন্ন রিপোর্ট দাবি করছে এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদেরও মত আগামীদিন যুদ্ধক্ষেত্র শুধু স্থল-জল-আকাশপথেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। সাইবার অ্যাটাকের মতো এমন যুগ আসতে দেরি নেই যেখানে মহাকাশে স্যাটেলাইটে হবে যুদ্ধ। মহাকাশ থেকে উড়ে আসবে অস্ত্র আর সোজা হবে হামলা। এবার সেই টার্গেট নিয়ে কোমর বাঁধছে ভারতবর্ষ। কীভাবে, কোন পথে? কোন রণনীতিতে এগোতে এয়ারফোর্স সব তথ্য আজকের রিপোর্টে। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী একটা মন্তব্যই কাফি ছিল। তিনি বলেছেন ভারতীয় মহাকাশ ক্ষেত্রকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে হবে। আর জানেন এখানে কে হতে পারে ভারতের শত্রু?
পাকিস্তানকে এখানে ভাবা যেতে পারে না, তাই নিঃসন্দেহে চিন৷ অস্বীকার করা যায় না কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সেক্টরে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে আর সেই বিপদ থেকে নিজেদের বাঁচাতে চীনও। মহাকাশ থেকে হামলা চালাতে সক্ষম ও অন্তরীক্ষে পাল্টা-আঘাত হানার সক্ষমতাযুক্ত প্রযুক্তিতে এগোচ্ছে বেজিং। ইউরা এশিয়ান টাইমসের এই রিপোর্ট দেখুন চীন মার্কিন মহাকাশ সক্ষমতা ‘নিশ্চিহ্ন’ করতে পাল্টা অস্ত্র মোতায়েন করেছে। ভারত এঅবস্থায় যে হাতে হাত গুটিয়ে থাকতে পারে না সেটা বুঝতেই পারছেন৷ ভারত আনছে স্থল-জল-আকাশপথের ব্রহ্মাস্ত্র। তথ্য বলছে, IACCS ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম। আনছে ভারতীয় বায়ুসেনা এই সিস্টেম ভারতীয় বায়ুসেনার সমস্ত বেস, মহাকাশ, স্থল এবং বায়ুতে থাকা। ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান সহ র্যাডারকে একসাথে সংযুক্ত করবে। এছাড়াও স্যাটেলাইট, বিমান ও ভূমিতে থাকা কন্ট্রোল সেন্টারের ডাটা একসঙ্গে পাওয়া যাবে। এই সিস্টেম তৈরি করতে ২০১৮ সালেই ভারত সরকার ৮০০০ কোটি টাকার ছাড়পত্র দিয়েছিল।
এই IACCS সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টই হল এই সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতের এয়ারডিফেন্স সিস্টেমগুলোও নির্দেশ পাবে স্বয়ংক্রিয় ভাবে। ১৯৩২ সালে ভারতীয় বায়ুসেনা স্থাপনের পর থেকেই কিন্তু টাচ দ্য স্কাই উইথ গ্লোরিকে সমার্থ করে আসছে। অবশ্য ১৯৩২ বায়ুসেনাকে বলা হত রয়াল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স। তবে এবার গতানুগতিক ছক থেকে বের হয়ে ভারতকে ভারতের বায়ুসেনা এগিয়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। বিশ্বে নতুন কোন ধরণের প্রযুক্তি এসেছে আগামী দিনে তার কতটা প্রভাব পড়বে যুদ্ধে এসব দিকের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই নয়া ডকট্রিন তৈরি হয়েছে। তবে এর মাঝেই বড় খবর দিল কেন্দ্র। ২০২৪র ফেব্রুয়ারি থেকেই তেজস এমকে-১এ সিরিজের যুদ্ধবিমান হাতে পাবে বায়ুসেনা। ভারতে তৈরি এই যুদ্ধবিমান দৃশ্যমানতা ছাড়িয়েও মিসাইল নিক্ষেপ করতে সক্ষম। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকালসের সঙ্গে ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মোট ৮৩টি তেজস এমকে-১এ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল। এবার তেজস এলে আরও মজবুত হবে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স৷ তবে শক্তি বা ক্ষমতার বাড়ানোর কোনও শেষ হয় না৷ ভারত টার্গেট সেই পথেই৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম