।। প্রথম কলকাতা ।।
ইতিহাস সমৃদ্ধ লখনউ-র একানা স্টেডিয়ামে ইতিহাস লিখল ভারত। দুই দশক পর বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করল রোহিতবাহিনী। গত পাঁচ বছরে একাধিক ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে এই একানা স্টেডিয়াম।
১৯৫২ সালে গোমতী নদীর তীরে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে একটি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল সদ্য আলাদা হওয়া দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান। পরবর্তীতে, ১৯৮৯ সালে ওডিআই এবং ১৯৯৪ সালে কেডি সিং বাবু স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছিল। ঠিক ২৫ বছর পর ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে প্রথম টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে।
২০১৯ সালের মে মাসে, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে তাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য এই স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করতে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। ২০১৯ সালের আগস্টে, বিসিসিআই আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলকে ভারতে তাদের তৃতীয় হোম ভেন্যু হিসাবে স্টেডিয়ামটি প্রদান করে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো টেস্ট ও ওডিআই ম্যাচ আয়োজন করা হয় এই স্টেডিয়ামে। যদিও এখন আর আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু নয় এই স্টেডিয়ামটি। এটা উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট দল, ভারতীয় ক্রিকেট দল, ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল, লখনউ সুপার জয়ান্টস, ইউপি ওয়ারিয়র্সের হোম গ্রাউন্ড।
নতুনভাবে তৈরি হওয়া এই একানা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়েছে আইপিএল দিয়ে। আর চলতি বিশ্বকাপে ভারত এই স্টেডিয়ামে তাদের ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। যেখানে ২০ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে রোহিতের দল। একানা স্টেডিয়ামকে নতুন রুপে তৈরি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে। একানা নামে একটি বেসরকারি সংস্থা এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করে। স্টেডিয়ামটি পুরোপুরি নতুনভাবে তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা। এই স্টেডিয়ামের মোট দর্শক সংখ্যা ৫০ হাজার।
ক্রিকেটের বাইরেও এই স্টেডিয়ামে বহু ইভেন্ট আয়োজিত হয়েছে। ২০২২ সালে একানা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক্সে পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল এই স্টেডিয়ামেই। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম