।। প্রথম কলকাতা ।।
Saudi Arabia China India: চিনের সঙ্গে হাত মেলাতেই সৌদির আসল মতলব বেরিয়ে গেল। আমেরিকার কাছে বড় হুমকি এসময় আরব দুনিয়ায় চিনের প্রভাব কাটাতে পারে একমাত্র ভারত। কোন পথে অনেকেই জানেন না। পশ্চিম এশিয়ার বুকে দিল্লি-ওয়াশিংটনের বিগ গেম শুরু। চিনের সাপোর্ট পেয়ে সৌদি আরব হাতির পাঁচ পা দেখলেই বেশ মুশকিল আমেরিকার৷ কিন্তু হাল না ছেড়ে দিল্লির অভিজ্ঞতা চাইছে ওয়াশিংটন৷ বেজিংয়ের সমর্থন পেতেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চোটপাট দেখানো শুরু। ভারত কোন মাস্টারস্ট্রোকে চিনের আধিপত্য ছেটে ফেলতে পারে? অজিত ডোভাল মে মাসে সৌদিতে গিয়ে কি ডিল করে এলেন?
শুনুন রিয়াদের থেকে একের পর এক হুমকি আমেরিকা পাচ্ছে সেটা প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে বলছে এবার নাকি সৌদির যুবরাজ চিনের সঙ্গে সামরকি লেনদেন চাইছে। দেখুন, সৌদি আরবের প্রতিরক্ষাখাতে একটা বড় জায়গা কায়েম করে রয়েছে ওয়াশিংটন। সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা অবকাঠামোও আমেরিকান সমরাস্ত্রের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে ৫-১০ বছর আগের সৌদি আর এখনকার সৌদির মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। যুবরাজ সালমানের চিনের দিকে পুরোপুরি ঝোঁকার আগেই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিছিয়ে দেওয়া হল এক অন্য বাণিজ্যের জাল। কিন্তু ভারতকেই কেন এই কাজে সঙ্গী হিসেবে বাছল আমেরিকা? মে মাসে সৌদি আরবে গিয়ে আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বৈঠকে যা হল সেটাই ঠিক করবে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক ভবিষ্যত। ভারতের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক বেশ ভালো৷
ভারত মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম সৌদি ও আমিরাতে কর্মরত শ্রমিকদেরও একটি বড় অংশ ভারতীয়। এদিকে নতুন সঙ্কটে পড়তে চলেছে বিশ্ব৷ নেপথ্যে সৌদি, তারও নেপথ্যে চিন কিনা কে বলতে পারে? চলতি বছরের জুলাই থেকে দিনে আরও ১০ লক্ষ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। আমেরিকার বিরোধ করলেও তা কানে তোলেনি রিয়াদ। এরমধ্যেই খবর উঠে আসছে মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল রেলওয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এখানেই আসল অ্যাকশন হবে ভারতের। কূটনৈতিক মহলের মতে শুধু রেললাইন নয় জলপথেও পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হতে পারে। এমনটা হলে এতে লাভবান হওয়ার কথা ভারত এবং আরব দেশগুলির। আর মূলত সৌদি আরব, আমেরিকা, ভারত, আরব আমিরাত চারদেশ যুক্ত থাকবে প্রজেক্টে। বিশাল এ যৌথ প্রকল্পটি রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আরব দেশগুলোকে সংযুক্ত করবে যা ওই অঞ্চলের বন্দরগুলোর সঙ্গে শিপিং লেনের মাধ্যমে ভারতের সাথেও যুক্ত হবে।
এতে কি লাভ হবে?
কূটনৈতিক মহলের মতে, চিনের সঙ্গে সৌদি যে সম্পর্কের সূত্রপাত হয়েছে আগামী দিনে তা বাড়বে। চিন সৌদির তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা। এদিকে ২৭ মার্চ চিনের রোংশেং পেট্রোকেমিক্যালের ১০ শতাংশ শেয়ার কিনতে ৩৬০ কোটি ডলারের চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে সৌদির আরব। আরও আছে চুক্তির আওতায় ২০ বছর মেয়াদে দিনে ৪ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল চিনা ওই কোম্পানির কাছে বিক্রি করবে সৌদি আরামকো। মূলত পাওয়ার কিন্তু তেল, সেটা এভাবে বেজিংয়ের দিকে সরে যেতে থাকলে ভবিষ্যতে যে সৌদির তেল সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্তে বেজিংয়ের প্রভাব থাকবে না সেটা কে বলতে পারে? আন্তর্জাতিক রাজনীতি ্শ্লে্শ্ল বিশ্লেষকদের মতে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পের মাধ্যমে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর যে পদক্ষেপ নিয়েছে চিন এবার তার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নতুন রেল প্রকল্পকে সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এতে ভারতের যে বড় সাহায্য দরকার হবে ওয়াশিংটনের এটা কিছুতেই অস্বীকার করা যাবে না৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম