।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারত হবে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী। কাতারের সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্কই তলানিতে তাহলে মধ্যস্থতা করার বৃথা চেষ্টা কেন? হামাসকে কেন জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করল না দিল্লি, মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে দিল্লির মোটিভ কী? রহস্য ঘনাচ্ছে আপনার কি মনে হয় ভারত হতে পারে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী। মধ্যস্থতা তখনই করা যায় যখন দুপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক সমান থাকে কিন্তু কাতার এই দুঃসাহস দেখালো কীভাবে?
ইজরায়েলের সঙ্গে তাদের তলানীতে থাকা সম্পর্কের কথা কি ভুলে গেছে কাতার? কাতারের সেই জায়গা কি এবার কেড়ে নেবে দিল্লি? ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে যারা ভারতের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা দেখছেন তাদের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন উঠছে ভারত কি এবার মধ্যস্থতা করতে পারে দুপক্ষের মধ্যে?
ইজরায়েলের আবেদন সত্ত্বেও ভারত হামাসকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেনি। অথচ ভারতই দাবি করেছিল ইজরায়েলের ওপর হঠাৎ হামাসের হামলাকে জঙ্গি হামলা হিসেবেই দেখছে দিল্লি। তাহলে কি প্যালেস্টাইনের পক্ষে কোনও রাস্তা খোলা রাখা হচ্ছে আর সেটা জেনেবুঝেই। ভারত ইজরায়েল না প্যালেস্টাইন কাকে সাপোর্ট করছে এই যুদ্ধে সেক্ষেত্রেও কিন্তু দিল্লির বেশ সাবধানী অবস্থান। কিছু দিন আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছিল তা থেকে বিরত ছিল ভারত। গাজ়ায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জে। ভারত সেখানে কোনও ভোট দেয়নি। তাহলে ভারত কি চাইছে যুদ্ধ চলুক? একেবারেই নয়, নোট করবেন ৩৮ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজাতেও উড়ে গিয়েছে ভারতের বিমান। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন এখান থেকেই একটা প্রশ্ন উঠে আসছে আগেও যেভাবে ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে মধ্যস্থতা করে এসেছিল ভারত এবারও কি সেটাই করবে? ২০২০ সালের এই রিপোর্ট দেখুন যেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জ মনে করেছিল ভারত একমাত্র এমন দেশ যাদের সম্পর্ক ইজরায়েলর সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্যালেস্টাইনের সঙ্গেও ভালো। তাই ভারত এদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে পারে।
দেখুন প্যালেস্তাইন ভেঙে ইজ়রায়েলের জন্মলগ্নে ভারত এই দেশভাগকে সমর্থন করেনি। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইহুদি রাষ্ট্র ইজ়রায়েল গঠিত হয়। পরে ১৯৫০ সালে ভারত ইজ়রায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়। এদিকে কাতার নিয়ে কথা বললে বলতে হয় ইজরায়েলের সঙ্গে কাতার কোনও সম্পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কই নেই। বরং কাতার হামাসের সঙ্গে অনেক বেশি যোগাযোগ রেখে চলে। অবশ্য শুধু হামাস নয় বিশ্বের তাবড় তাবড় জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কাতার সম্পর্ক রক্ষার নীতি রয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে না। সেই কাতার ইজরায়েলকে নিয়ে মধ্যস্থতায় নামলে তেল আভিভ কেন তাদের কথা শুনবে বলতে পারেন? ইজরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবর হামলা হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এই হামলার তীব্র নিন্দা করছে ভারত আমরা ইজরায়েলের পাশে আছি। এরপর বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দেয় ভারত কিন্তু স্বাধীন প্যালেস্টাইন গড়ার পক্ষে আদতে ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইন দ্বন্দ্বে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের কথাই বারবার বলেছে ভারত। তাই ভারত এবার মধ্যস্থতাকারীর অবস্থান নিতেই পারে এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম