।। প্রথম কলকাতা ।।
India Population: বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল চীনের (China) জনগণকে ছাপিয়ে যাবে ভারতের জনসংখ্যা (India Population।) এবার ঠিক তাই হল, এমনটাই দাবি এক রিপোর্টের। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটু মন্থর হয়েছে, তবে চীনের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে গেছে। কারণ চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন নিম্নমুখী। বিশ্ব জনসংখ্যা পর্যালোচনা অনুযায়ী, কমপক্ষে ২০৫০ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হয়েছিল।
বিশ্ব জনসংখ্যা পর্যালোচনার অনুমান উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংস্থার অনুমান অনুসারে, ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.৪১৭ বিলিয়ন। চীন দ্বারা রিপোর্ট করা ১.৪১২ বিলিয়ন থেকে ৫ মিলিয়নের কিছু বেশি। যেখানে বেজিং (Beijing) সেই ১৯৬০এর দশকের পরে জনসংখ্যায় প্রথম হ্রাস ঘোষণা করেছিল। যদিও জাতিসংঘ আশা করছে ভারত চলতি বছরের শেষের দিকে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে।
ব্লুমবার্গের (Bloomberg) রিপোর্ট অনুযায়ী, গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ম্যাক্রোট্রেন্ডসের (Macrotrends) আরেকটি অনুমান বলছে, ভারতের জনসংখ্যা ১.৪২৮ বিলিয়ন। যদিও ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে। বিশ্ব জনসংখ্যা পর্যালোচনা অনুযায়ী, কমপক্ষে ২০৫০ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশা করেছিল। অপরদিকে দিকে জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এক বছর আগের তুলনায় ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা ৮৫০,০০০ কমেছে। জাতিসংঘ বলছে, ২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার আনুমানিক বৃদ্ধির অর্ধেকেরও বেশি হবে। যা পরিলক্ষিত হবে মাত্র আটটি দেশে। সেগুলি হল কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়া।
ব্লুমবার্গ ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ থেকে অনুমান উদ্ধৃত করে রিপোর্ট করেছে, ভারত হয়ত ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনের জনসংখ্যা হ্রাস হওয়ার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। যদিও দেশটি ২০২১ সালে তার কঠোর এক-সন্তান নীতিতে পরিবর্তন আনে। এই নীতি ১৯৮০ সালে বাস্তবায়িত হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি হ্রাস করার উদ্দেশ্যে, পরিবারগুলি শুধুমাত্র একটি সন্তানের জন্ম দেবে। এই নীতি লঙ্ঘনকারীদের জন্য জরিমানা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু বেজিং এখন বিভিন্ন উপায়ে তার জনসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কর কাটছাঁট, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং আবাসন ভর্তুকি প্রদান করে জন্ম হারিয়ে উৎসাহিত করতে সচেষ্ট।
গত বছরের আগস্টে, চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারকে প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় বাড়াতে এবং শিশু যত্ন পরিষেবার উন্নতির জন্য আহ্বান জানায়। চীনের রাজ্য পরিষদ আরও বলেছে যে তারা নমনীয় কাজের সময় এবং শিশুদের সাথে কর্মীদের জন্য বাড়ি থেকে কাজ করার বিকল্পকে উৎসাহিত করার জন্য নতুন ব্যবস্থার কথা ভাবছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম