।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনকে মাঝসাগরে ব্রহ্মাস্ত্র দেগে ভারত দিল হুমকি। বেজিং যে গোপন কাজ করছিল তাতে বড় বাধা। আচমকা ব্রহ্মস এতটা শক্তি বাড়িয়ে ফেলল কীভাবে? যে কোনও সময় বিগড়ে যেতে পারে পরিস্থিতি। শ্রীলঙ্কাকে বারবার বারণ করেছিল ভারত। ভারত একা নয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও কিন্তু শ্রীলঙ্কার যে হাতপা বাঁধা চীনের জালে সেটাই অস্বীকার করার উপায় নেই তাই ভারতই এবার চমকে দিচ্ছে চীনকে। বঙ্গোপসাগরের দিকে নিশ্চয় নজর রয়েছে বেজিংয়ের। তাহলে এতক্ষণে পিএলএ আর্মির টের পেয়ে যাওয়ার কথা। শ্রীলঙ্কার উপকূলে ৮০ দিন ধরে চীনের জাহাজ শিয়ান-৬ আদৌ গবেষণা করবে নাকি অন্য কোনও গুপ্তচরবৃত্তি সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করছে ভারত ও আমরিকা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে অলরেডি সমুদ্রে গবেষণা করা শুরু করে দিয়েছে চীনা জাহাজ।
কলম্বোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মতে শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল অ্যাকুয়াটিক রিসোর্সেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এনএআরএ) এবং ইউনিভার্সিটি অব রুহুনার সহযোগিতায় দেশটির পশ্চিম উপকূলে এই গবেষণা করা হচ্ছে। এর মাঝেই দিল্লি দিল বেজিংয়কে সমুদ্রেই হুঙ্কার। বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী যুদ্ধজাহাজ থেকে এবার ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় নেভি।ভাববেন ব্রহ্মস তো আগেও পরীক্ষা করা হয়েছে তাহলে এটা নতুন এমন কী খবর। বিশেষজ্ঞদের দাবি অবশ্যই নতুন খবর কারণ নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার এই প্রথম নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির রণতরী থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। ব্রহ্মসের সফল উৎক্ষেপণের পর এই ঘাতক যুগলবন্দি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নৌসেনা আধিকারিকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন “জাহাজ এবং যুদ্ধাস্ত্র” দুটিই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। মাঝসমুদ্রের এই সফল উৎক্ষেপণ প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার প্রকৃত উদাহরণ।
সেইসঙ্গে অবশ্যই চীনকে দেওয়া বড়সড় হুমকি। কারণ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রর গতিবেগ ২.৮ ম্যাক অর্থাৎ শব্দের থেকেও প্রায় তিনগুণ দ্রুতগতিতে মিসাইলটি উড়তে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে ব্রহ্মস যে কোনও টার্গেটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হামলা চালাতে পারে। ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথ্বী’র মতো ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতোই মারাত্মক এই ক্রুজ মিসাইল। এর মানে একবার এই মিসাইল ছোড়া হলে শত্রুর পক্ষে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব। শ্রীলঙ্কার উপকূলে শিয়ান-৬ কে কোনও বেগড়বাই করতে দেখলে ভারত কি তখন ব্রহ্মসকেই কাজে লাগাতে পারে ওয়াকিবহাল মহল তুলছে এমনই প্রশ্ন। এনিয়ে কোনও খবর প্রকাশিত না হলেও ভারতের সম্পূর্ণ কড়া নজর রয়েছে শিয়ান-৬এর দিকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে শ্রীলঙ্কায় চীনা সামুদ্রিক গবেষণা ফ্লিট রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গবেষণা বিষয়ক জাহাজ শিয়ান-৬। বলা হচ্ছে এটি সেখানে প্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিষয়ক জাহাজ। যা জিওফিজিক্যাল অনুসন্ধানে দৃষ্টি রাখবে। প্রায় ৮০ দিন সমুদ্রে অপারেশন চালানোর শিডিউল আছে এতে। আছে ১৩টি গবেষক দল এবার দেখার এই জাহাজ সম্পর্কে কোনও সন্দেহজনক তথ্য ভারতীয় বা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে উঠে আসে কিনা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম