।। প্রথম কলকাতা ।।
India or Bharat: ইন্ডিয়া নাকি ভারত? দেশের নাম বিতর্ক নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনার কানে পৌঁছে গিয়েছে। সেই বিতর্কে আপাতত আমরা যাচ্ছি না। কিন্তু সত্যি কি দেশের নাম পরিবর্তন সম্ভব? কিন্তু কীভাবে? এমনটা আগে হয়েছে কখনো? দুটো নাম নিয়ে চলছে বিশ্বের বহু দেশ। হতবাক হবেন না। এটা কিন্তু নতুন কোন ব্যাপার না।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, ভারতের সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, ‘ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত’ কথাটা। সংবিধানে দেশের নাম পরিবর্তনের জন্য বেশ কয়েকটা সংশোধনের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সংবিধানে এই অনুচ্ছেদের পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়াও পরিবর্তন আসতে পারে অন্যান্য বহু নিবন্ধে। ঠিক যেখানে যেখানে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত করতে হবে সেখানেই পরিবর্তন প্রয়োজন। শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলোতেও এই পরিবর্তনে কথা তখন জানাতে হবে।
কোন দেশের নাম বদলের ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। বিশ্বের বহু দেশ নাম পরিবর্তন করেছে। একসময় গোটা বিশ্ব যাকে চিনতে পারস্য বলে, ১৯৩৫ সালে হঠাৎ বদলে হয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী রাষ্ট্র ইরান। ব্রিটেন এবং রাশিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে নাম পরিবর্তন করে ফেলে। আজ যাকে গোটা বিশ্ব থাইল্যান্ড নামে চেনে, ১৯৩৯ সালের আগে দেশটার নাম ছিল সিয়াম। ১৯৭২ সালের আগে ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা পরিচিত ছিল সিলন নামে। বার্মার নাম বদলে হয়ে যায় মিয়ানমার। হল্যান্ড থেকে হয়ে যায় নেদারল্যান্ড। এই তো গত বছরই, রীতিমত ঢাকঢোল পিটিয়ে তুরস্ক নিজের নাম বদলে করে ফেলল তুরকিয়ে। জাতিসংঘে এখন তুরস্ককে ডাকা হবে ‘তুরকিয়ে’ নামে। দেশের নাম বদলের তালিকাটা বড্ড লম্বা। যেখানে রয়েছে জিম্বাবোয়ে, সুরিনাম, বেনিন, বুর্কিনা ফাসো, আয়ারল্যান্ড সহ প্রচুর দেশ।
এবিপি আনন্দের প্রতিবেদন বলছে, ইন্ডিয়ার পরিবর্তে শুধুমাত্র ভারত নাম রাখার দাবি কিন্তু আজকে নয়। বহুদিনের। এর আগেও বিষয়টা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৬ সালে হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই সময় আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কেউ ভারত বলতে চাইলে ভারত বলতে পারে, কেউ ইন্ডিয়া বলতে করতে চাইলে ইন্ডিয়াও বলতে পারে। সংবিধানে ভারত এবং ইন্ডিয়া, দুই নামেরই উল্লেখ রয়েছে।
দেশ এক কিন্তু বহু নাম, এইরকম উদাহরণও কিন্তু কম নেই। একটু খোঁজখবর নিলেই পেয়ে যাবেন ভুরি ভুরি নাম। ইংরেজিতে আপনি যাকে জাপান বলেন, সেই দেশের ভাষা অনুযায়ী অনেকে বলেন নিহঁ, অনেকে বলেন নিপ্পঁ। চীনের বহু মানুষ দেশটাকে তাদের স্থানীয় ভাষায় ডাকেন কিনা, সিনো প্রভৃতি নামে। ইংরেজিতে ফিনল্যান্ড কিন্তু স্থানীয় ভাষায় সুওমি। জার্মানির আবার একাধিক নাম। দেশটির স্থানীয়রা কেউ বলে নেমশি, কেউ বলেন সাকশা, কেউবা ডাকে ডয়েচল্যান্ড নামে। তাই এক দেশ বহু নামের যেমন উদাহরণ রয়েছে, তেমনি বিশ্ব ইতিহাসে নাম পরিবর্তন করেছে বহু দেশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম