।। প্রথম কলকাতা ।।
আর চুপ থাকতে পারল না ভারত। কেমন হবে বাংলাদেশের নির্বাচন? জানিয়ে দিল। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তুমুল জল্পনা। প্রত্যেক স্টেপে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজর। দুই দেশের মাঝে বয়ে গেল কত বিতর্কের জল, হল কত দড়ি টানাটানি কিন্তু একদম চুপ ছিল ভারত। এবার ভাঙল নীরবতা। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের কি কোন পরিকল্পনা রয়েছে? কতটা চিন্তায় ভারত? চাইছে টাই বা কি?
ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র, স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন হবে পরিকল্পনা অনুযায়ী। সেখানে থাকবে শুধুই শান্তি। কোন সহিংসতার জায়গা নেই। বাংলাদেশের মানুষ ঠিক যেভাবে নির্বাচন নির্ধারণ করবেন, গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ঠিক সেই ভাবেই হওয়া উচিত। খেয়াল করুন, ভারত কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিষয়টা নিয়ে জট পাকায়নি কিংবা বারংবার মানবাধিকার নিয়ে নাকও গলায়নি। স্পষ্ট কথা, নির্বাচন হবে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ। প্রশ্নটা এখানেই, ভারত তাহলে এতদিন বিষয়টা নিয়ে নীরব থাকল কেন? দুই দেশের মধ্যে তো মাখো মাখো বন্ধুত্ব। একে অপরের বিপদে সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিবিসির রিপোর্ট বলছে,বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার দেব মুখার্জি জানান, এই ধরনের বিষয় নিয়ে ভারত সরাসরি প্রকাশ্যে কথা বলতে খুব একটা পছন্দ করে না। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক, এমনটা কখনই চাইবে না ভারত। বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা ঠিক কতটা তা নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে জোরালো হচ্ছে কৌতুহল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ও কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ভারত এই বিষয়ে উদাসীন কেন?
যদিও ভারত বারংবার বলেছে, বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনই চায়। বাংলাদেশে কেমন ভাবে নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশ ঠিক করবে। পাশাপাশি বাংলদেশে যে ভাবে পশ্চিমাদেশের কূটনৈতিকরা আসছেন,নানান মন্তব্য করছেন, সেই প্রসঙ্গে জানান, এগুলো নিয়ে গোটা বিশ্ব মন্তব্য করতে পারেন পারে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের ঘটনাবলীর প্রতিক্রিয়া পড়ে ভারতের উপরেও। বাংলাদেশে ভারতের একটা হাইকমিশন আছে। আশা করা হচ্ছে, সেখানে শান্তি থাকবে, সেখানে কোন সহিংসতা থাকবে না।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কিছুটা হলেও পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া। দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো। আবার বাংলাদেশও খুব কাছের বন্ধু। বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্কে প্রথম থেকেই চুপ ছিল ভারত। সেভাবে কোন জোরালো মন্তব্য করেনি। এই প্রথম অফিশিয়ালি পাকাপোক্তভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মতামত জানালো। এবার যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের মতো ভারতও যদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলে, তাহলে সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম