।। প্রথম কলকাতা ।।
রাশিয়া S-400 থেকে শক্তিশালী অস্ত্র বানাচ্ছে ভারতবর্ষ। চীনের তুলনায় দুর্ধর্ষ প্রতিরক্ষা এবার দিল্লি খেলা হবে পুরোদমে। বড় ধামাকা ভারতের ডিফেন্সে পাকিস্তানের বুক ঢিপঢিপ বাড়ছে। ৪০০ কিলোমিটারের রেঞ্জ চাট্টিখানি কথা নাকি। এলএসি হোক এলওসি সীমান্তে ওপারের ঘুম উড়েছে। ভারত যা বানাচ্ছে তা কতটা খতরনাক পাকিস্তান আর্মির সেই জ্ঞান আছে। পিএলএ আর্মি জানে রাশিয়া এস৪০০র ক্ষমতা কতটা তাহলে সত্যি কি ভারত এমন কিছু বানানো শুরু করে দিল যা পুতিনের গর্ব S-400 কেও বিট করবে। একবার এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি হয়ে গেলে তা কোথায় মোতায়েন করা হবে জানেন?
নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুকেও ঘায়েল করতে সম্ভব। ভারতের এই নতুন সিস্টেমটির নাম দেওয়া হয়েছে LRSAM, LRSAM’র পুরো অর্থ লং রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল। কিন্তু সত্যিই কি এর তুলনা রাশিয়া এস৪০০ সঙ্গে করা চলে? ২০০৭ সাল থেকে দেশের প্রতিরক্ষায় এই সার্ফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এস-৪০০ আদতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। যাকে বলে ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট ওয়েপন সিস্টেম। ভূমি থেকে আকাশে নির্ভুল নিশানায় আঘাত করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ৪০০ কিলোমিটার পাল্লায় যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে এর। অত্যাধুনিক যে সব যুদ্ধবিমানকে রাডারে ধরা যায় না। তাদেরও চিহ্ণিত করতে পারে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। ভারতের LRSAM ও কী একইভাবে কাজ করবে?
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, LRSAM সিস্টেমটি হবে তিন স্তরের সারফেস টু এয়ার মিসাইল হিসেবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সামলাবে। এই সিস্টেমটি তিন স্তরে কাজ করবে, যা শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমানের দূরত্ব অনুযায়ী সক্রিয় হবে। বিভিন্ন দূরত্ব অনুযায়ী লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করবে। সারা পৃথিবীতে এই ধরনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে। নতুন দুর্ধর্ষ এই সিস্টেম তৈরি হলে ভারত ঢুকে পড়বে সেই দেশগুলোর তালিকায়। শত্রুকে ধ্বংস করার সঙ্গে সঙ্গে আরও বড় কাজ করবে এই অস্ত্র। অনুমান করে নেওয়া হচ্ছে ধামাকাদার এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একবার তৈরি হয়ে গেলে তাতে সীমান্ত সুরক্ষা অনেক বেশি আঁটোসাটো হবে। ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকানোর ক্ষমতা হবে না শত্রুদেশের। হয়ত চীন বা পাকিস্তান সীমান্তে তা মোতায়েন করা হবে। বহুদিন ধরেই ভারত চাইছে প্রতিরক্ষাখাতে স্বনির্ভর হতে। LRSAM তৈরি হলে সেই দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে ভারতের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম