।। প্রথম কলকাতা ।।
রুশ অস্ত্র ভোঁতা ঠেকছে ভারতের কাছে? কার দিকে ঝুঁকছে নয়াদিল্লি? রাশিয়ার বিকল্প খুঁজে পাওয়া কী এতো সহজ হবে ভারতের জন্য? ভারতের মনে জায়গা করে নিতে পারবে পশ্চিমা বিশ্ব? অস্ত্র ও প্রযুক্তি বিনিময়ে ভারতকে কতটা বিশ্বাস করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত কয়েক শ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র কিনছে। ভারত নিজেদের অভ্যন্তরীণ অস্ত্রশিল্পকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে কোমর বাঁধছে। তাহলে কি রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে নয়াদিল্লি?
পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কৌশল বদলাচ্ছে ভারত। লক্ষ্য করুন। যেকোনো দেশের সঙ্গে অস্ত্র কেনার চুক্তিতে যৌথভাবে সমরাস্ত্র উৎপাদন বা প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়টাকে কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করছে ভারত। এটাই তো মোক্ষম সময়।ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া থেকে ভারতের অস্ত্র সরবরাহ যখন ব্যাহত হচ্ছে, তখন ভারত অস্ত্র আমদানিতে বৈচিত্র্য আনা বা আমদানির বদলে দেশে অস্ত্র তৈরির দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথ বেছে নিচ্ছে। টার্গেট সেট করে ফেলেছে ভারত। আগামী এক দশকে মোদী সরকার দেশীয় অস্ত্র কারখানাগুলো থেকে ১০ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র কিনতে চায়। ভেতরের খবরটা কী জানেন?
অস্ত্র আমদানির ব্যবসা থেকে বেরোতে চাইছে ভারত যদিও অনেকেই বলছেন রাশিয়ার ওপর থেকে ভারতের নির্ভরশীলতা এখনই কমে যাবে, সেটা ভাবার কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে রাশিয়া থেকে সরতে ভারতের কয়েক দশক সময় লেগে যাবে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টায় ত্রুটি রাখছে না। ‘প্রযুক্তি বিনিময়ে’ ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রতিরক্ষা চুক্তি ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে চিপ, মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বেশ কয়েকটি খাতে চুক্তি হয়েছে। সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। কিন্তু, এই সম্পর্ক রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের কয়েক দশকের সম্পর্কের বিকল্প হয়ে ওঠেনি।
এই একটি কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে যেকোনো সামরিক সরঞ্জাম বা প্রযুক্তি বিনিময়ের আগে একটু হলেও সতর্ক থাকবে, দুবার অন্তত ভাববে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রযুক্তি বিনিময়ের আইনও বেশ কঠোর, যা ভবিষ্যতে নয়া দিল্লি ওয়াশিংটনের মধ্যে অস্ত্র কেনাবেচার চান্সে ব্যারিকেড লাগাতে পারে। ফলে, কারোর ওপর নির্ভর না করে আত্মনির্ভরতার পথে হাঁটাই ভারতের জন্য যে শ্রেষ্ঠ উপায়, তা বুঝতে বাকি নেই মোদী সরকারের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম