।। প্রথম কলকাতা ।।
কোণঠাসা চীন! স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বড় সহযোগিতা ভারতের। পাশে দাঁড়ালেন নরেন্দ্র মোদী। দিচ্ছেন প্রচুর টাকা। সত্যি হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল দুই দেশ। এবার বাংলাদেশে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে চীনের। দেশটাকে আজকাল যেন পাত্তাই দিচ্ছেন না শেখ হাসিনা। ভারতের হাত ধরতেই বাংলাদেশ ঠিক কি কি লাভ করল জানেন? শুনলে থতমত খাবেন। কপাল ফিরে যাবে দেশটার।
শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতা করবে ভারত। নয়া দিল্লি থেকে বড় বার্তা নরেন্দ্র মোদীর। ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি বুঝেছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখলে দেশের উন্নতি হয়। আর সেটা প্রমাণও করেছেন। শেখ হাসিনা মনে করেন, বিশ্বের জন্য ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক একটা দৃষ্টান্ত। আগামী দিনে এই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। যৌথভাবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন তিনটি বড় প্রকল্প। আখাউড়া আগরতলা রেল সংযোগ, খুলনা মোংলা বন্দর রেল সংযোগ আর মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকাকালীন দুই দেশের সম্পর্ক পৌঁছেছে উচ্চতর শিখরে। গত ৯ বছর দুই দেশ একসঙ্গে ঠিক যে পরিমাণ কাজ করেছে তা বিগত কয়েক দশকের থেকে অনেক বেশি। মোদীর কথায়, সমুদ্রসীমা বিরোধের সমাধান, স্থল সীমান্ত চুক্তি, ঢাকা, শিলং, আগরতলা, গুয়াহাটি কলকাতার মধ্যে বাস পরিষেবা, ট্রেন পরিষেবা, পার্সেল ও কন্টেইনার ট্রেন পরিষেবা, গঙ্গা বিলাস ক্রুজের মতো যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি বাণিজ্য বেড়েছে এক ধাক্কায় তিনগুণ। এর পর নতুন মাইল ফলক তৈরি করবে আখাউড়া আর আগরতলার রেল সংযোগ। এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের মধ্যে প্রথম রেল সংযোগ। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের বন্দর গুলো ডায়রেক্ট যুক্ত হবে ভারতের উত্তরের রাজ্যগুলোর সঙ্গে। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা কে না জানে। সেই বন্ধন হবে আরো গভীর। শোনা যাচ্ছে, এই আন্তসীমান্ত রেল যোগাযোগ প্রকল্পে ভারত সহযোগিতা করেছে প্রায় ৩৯২ টাকা। মোট ১২.৭৪ কিমি রেল যোগাযোগের মধ্যে ৫.৪৬ কিলোমিটার থাকছে ত্রিপুরার অংশে, আর বাংলাদেশের অংশে থাকছে ৬.৭৮ কিমি। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পে ভারত লোন দিয়েছে প্রায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের সহযোগিতায়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর যুক্ত হয়েছে ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে। খুব সহজেই বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। নতুন গতি পাবে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে পর্যটন খাত ।
শেখ হাসিনার স্পষ্ট কথা, বাংলাদেশেও কিন্তু একইভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। তাই তো বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সাফল্য অর্জন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতির মেলবন্ধন, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির, উন্নয়ন সহযোগিতা সহ অনেক কিছু। ভারতের বাংলাদেশের সম্পর্কে নেই কোন প্রশ্ন। সম্প্রতি জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের মাটিতে পেয়েছেন উষ্ণ আতিথেয়তা । কিন্তু ভারত বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বে কেন চীনের প্রসঙ্গ আসছে? আসলে কয়েকদিন আগেই ব্রাসেলস সফরে হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর চীনের দ্বন্দ্বে তিনি কারোর পক্ষই নেবেন না। শি জিনপিংয়ের দেশকে এক্সট্রা কোন ফেসিলিটি নয়।বাংলাদেশ চলছে অত্যন্ত ব্যালেন্স করে। অথচ ভারতে প্রসঙ্গ আসলেই একটু বেশি গদগদ ভাব।
দেখুন ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক আগাগোড়াই ভালো। একে অপরের বিপদে সবসময় পাশে দাঁড়ায়। এবার সেই নিরিখ প্রতিবেশী দেশের উন্নয়নে এক ধাপ বেশি এগিয়ে এসেছে ভারত। তাই তো ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম