।। প্রথম কলকাতা ।।
প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়াচ্ছে ভারত বড় ঘোষণা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। সিকিউরিটি বাড়ানো হল কেন? ইজরায়েলের পক্ষ থেকে কি তাহলে হাত তুলে নিল দিল্লি? ভারতের বিদেশমন্ত্রক থেকে অতি সুক্ষ্ম কূটনৈতিক বার্তা।ভালো করে বুঝতে হবে কোন অবস্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের বার্তার পর ইজরায়েলের প্রতিক্রিয়া কি? ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ভারতের অবস্থান বা ইজরায়েলকে সমর্থন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। কারণ অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে প্যালেস্টাইনের স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি হওয়ার পক্ষেই ছিল ভারত এমনকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর ভাষণেও শোনা গেছিল সেই কথা।
তাহলে কি মোদী জমানায় বদলে গেল সমর্থন? ভারত জানিয়ে দিল না তেমন কিছুই হয়নি ভারত এখন স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের পক্ষেই রয়েছে। এর মানে ভাববেন না দিল্লি হামাসকে সমর্থন করছে। এখানেই রয়েছে একটা বিশেষ পয়েন্ট হামাসের আচমকা ইজরায়েলের ওপর হামলাকে জঙ্গি হামলা বলেই বিবেচনা করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন “আমাদের নীতি দীর্ঘস্থায়ী এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ ভারত সর্বদা প্যালেস্টাইনের একটি সার্বভৌম, স্বাধীন এবং কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সরাসরি আলোচনা শুরু করার পক্ষে তারা যাতে নিরাপদ এবং স্বীকৃত সীমান্তের মধ্যে বসবাস করে ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তিতে পাশাপাশি থাকে ভারতের এই অবস্থান একই রয়েছে”। একইসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান যে নয়াদিল্লি হামাসের হামলাকে ‘জঙ্গি হামলা’ হিসেবেই দেখছে। কূটনৈতিক মহলের দাবি এর মানে ভারত কোনওভাবেই কোনওধরণের অশান্তি বা হিংসা যে পক্ষে নয় সেটা পরিস্কার হয়ে গেল। খুব ভালো ভাবে ভারত আলোচনার পক্ষে সেটা জানিয়ে দেওয়া হল।
না হামাসের ইজরায়েলের ওপর হামলাকে সমর্থন করেন মোদী, না গাজার ওপর ইজরায়েলের এই বর্বরোচিত হামলাকে সমর্থন করে ভারত। তবে ভারতের এই বার্তার পর ইজরায়েল এখনও এ নিয়ে মুখ খোলেনি। এদিকে জানা যাচ্ছে প্রাণে বাঁচতে চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পালান। গাজার উত্তর দিকের বাসিন্দাদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর অর্থ স্পষ্ট এরপর গাজায় ‘গ্রাউন্ড ইনভেশন’ বা ভূপথে হামলা করবে ইজরায়েল। তাই তার আগেই এই চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দেওয়া হল। এদিকে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ওয়াই ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতেই বাড়ানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা। নতুন ক্যাটেগরি অনুযায়ী, জয়শংকরকে নিরাপত্তা দেবে সিআরপিএফ। ওয়াই ক্যাটেগরিতে বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল দিল্লি পুলিশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম