।। প্রথম কলকাতা ।।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্ধকারে ডুবছে ভারত-ইউরোপ করিডরের ভবিষ্যৎ? ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের বড়সড় এফেক্ট। রেল-বন্দর-ইকো ফ্রেন্ডলি জ্বালানি। মোদীর বিশ্ব বাণিজ্যের পিলার কী তবে ভেঙে খান খান? ইজরায়েলের থেকে দূরত্ব বাড়ছে, সৌদি এবার প্যালেস্টাইনের পাশে। ইহুদী ভূমির সঙ্গে বড় সংকটে ভারতও। যখন তখন উল্টাতে পারে পাশার দান। ভারতের সামনে সুযোগ বাড়লে চীনের সর্বনাশ রোখে কে? ইজরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধের ট্র্যাপে ফেঁসে গেল ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ ইকোনমিক্যাল করিডর। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত যত বাড়বে, আইএমইসি’র ভবিষ্যৎ ততই অনিশ্চয়তার পথে যাবে। কেন?
বুঝতে হবে এই করিডর গড়ে তুলতে হলে সৌদি আরব ও ইজরায়েলের মধ্যে একটি পোক্ত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করা দরকার। কারণ, ইউরোপে পণ্য পাঠানো হবে ইসরায়েলের হাইফা বন্দর দিয়ে অলরেডি ভারতের আদানি গোষ্ঠী চলতি বছর এই বন্দরটা কিনেও নিয়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে এখন যা ঘটছে, তাতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা কঠিন শুধু নয়, প্রায় অসম্ভব। এরমধ্যেই কিন্তু সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অফিসিয়ালি প্যালেস্টাইনের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে বলেছেন ফিলিস্তিনি মানুষের অধিকার অর্জনে রিয়াদ সবসময় তাদের পাশে থাকবে। মনে করিয়ে দিই, গত কয়েক দশক ধরেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক সাপে নেউলে। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটতে শুরু করেছিল কয়েকটা আরব দেশ। সেক্ষেত্রে সৌদিকে রাজি করাতে ওয়াশিংটন কূটনৈতিক তৎপরতা দেখালেও রিয়াদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিন ইস্যু সলভ হওয়ার পরেই ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করবে সৌদি আরব।
এদিকে যুদ্ধে ইজরায়েলকে ফুল সাপোর্ট করছে ভারত। মানে বিষয়টা দাঁড়াল সৌদির সাপোর্ট প্যালেস্টাইনকে, আর মোদীর ইজরায়েলকে। সেখানে সৌদি ইজরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে করিডরের প্ল্যানিং ভাবনা চিন্তার পর্যায়েই থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ এবার দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, সৌদি আরব, ফ্রান্স ও জামার্নি এই করিডর তৈরির জন্য হাত মিলিয়েছিল। তাহলে কী, ইজরায়েল হামাস যুদ্ধ ভেঙে দিল আইএমইসি করিডর গ্রুপ? ভারত-সৌদির দূরত্ব বাড়লো? প্রশ্ন উঠছে আর তাতেই চীন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। কিন্তু, এটাও মনে রাখতে হবে ইজরায়েল হামাস যুদ্ধ থেমে গেলে এই করিডর হয়ে উঠবে শি এর ড্রিম প্রজেক্ট বিআরআই এর বিকল্প। অনেকে তো বলছেন ইসরাইল হামাস যুদ্ধ চললেও আইএমইসি করিডর হবে। দেরী হলেও, বাস্তব রূপ নেবে ভারত মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ ইকোনমিক্যাল করিডর। সেক্ষেত্রে চীনের বিপদ বাড়বে বই কমবে না। এখন দেখার আইএমইসি করিডর প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ভারত কী স্টেপ নেয়? এখন শুধুই মোদী ম্যাজিকের অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম