।। প্রথম কলকাতা ।।
India-Maldives: ভারত বয়কট উত্তেজনা ভারত কে কি কোন ঠাসা করেই ছাড়লো? তাহলে কি সত্যি সত্যিই ইন্ডিয়া আউট? কতটা শক্তি ছিল ভারত বয়কট চাপের? নতি স্বীকার নাকি পাল্টা কোন ধাক্কা দেওয়ার চাল ভারতের ? ভারত মেনে নিল সব কথা মালদ্বীপের? মইজ্জু কি তবে সাকসেস? ভারতীয় সেনাকে তাড়িয়ে শান্তি কি পাবে মালদ্বীপ মোইজ্জু তো আবদার করছেন ভারতের কাছে।।চিন কে চায় আর ভারত কে কেনো তবে দরকার মইজ্জুর ,? একবার মুখ ফিরিয়ে নিলে ভারত আর কি তাকাবে?
মালদ্বীপ থেকে ভারত মুখ ফিরিয়ে নিলো! বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর হুড়োহুড়ি ।।
মালদ্বীপ ছাড়ল ভারতীয় সেনা। বাংলাদেশের মিডিয়া লেখালেখি করছে। মইজুর ডেড লাইনের কাছে ব্যর্থ ভারত। ভারতকে চাপ স্বীকার করে নিতে হলো এবং ছাড়তে হলো মালদ্বীপ। মালদ্বীপের বয়কট ইসু সাকসেস ফুল। মালদ্বীপে অবস্থান করা ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নয়া দিল্লিকে বার্তা দিয়েছিল মুইজ্জু।। দেশটিতে থাকা ভারতীয় সব সেনারা মালদ্বীপ ছেড়েছেন ১০ইমার্চ থেকে প্রথম দফা শুরু হয়।। দীর্ঘদিনের বন্ধু ভারতকে পরিত্যাগ করে চীনের দিকে ঢুকে পড়েছে মালদ্বীপ। দিল্লি সফর বাদ দিয়ে বেইজিং সফর করে মুইজ্জু।। চীনের সঙ্গে মালদ্বীপ বেশ কয়েকটা চুক্তি ও করেছে।। ভারতের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা। কিন্তু ভারত বলে ভারত কারোর উপর প্রভাব খাটায় না বরং বন্ধু হয়ে সেই দেশটার বিপদে-আপদে পাশে থাকে যেমনটা ছিল মালদ্বীপের ক্ষেত্রেও।। মূইজ্জু খুব আনন্দের সঙ্গে বলেন তার সরকার ভারতীয় সেনাদের দেশ থেকে সরাতে সক্ষম হয়েছে।। আমরা বলব ভারত মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।। দীর্ঘদিনের অপমানের জবাব দিয়েছে ভারত।। কিছু কিছু মিডিয়া লেখালেখি করছে মইজুর ভারত বয়কট এজেন্ডার জেরে ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপ ছেড়েছে ।। এটা তারাই বলছে যাদের মনেও ভারত বয়কট খুব গুরুত্ব পাচ্ছে।
বাংলাদেশের কিছু কিছু মিডিয়া খুব বড় করে হেডলাইন করছে। আর কিছু মানুষ তা দেখে আনন্দ পাচ্ছেন। ডেড লাইনের আগেই ভারত মালদ্বীপ ছেড়েছে। আজকের মালদ্বীপ স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝেনা।। ভারত চেয়েছিল প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় ভারত আর মালদ্বীপের পারস্পরিক সম্পর্ক স্বার্থের অনেক উপরে থাকবে।। ইন্ডিয়া আউট স্লোগান তুলে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে ইন্ধন জুগিয়ে চীনের সক্রিয়তা মালদ্বীপে বাড়িয়ে ভারতকে ফাঁপড়ে ফেলা যায়নি। বরং ভারত মুখ ফিরিয়ে নিল এটা মালদ্বীপের জন্য খুব একটা সুখকর হলো না বলেই কূটনৈতিক মহল বলছে।। দেশটিতে মানুষের কল্যাণে উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলোকে ভারত যেভাবে ক্রমাগত সমর্থন করে গেছে তাতে উপকৃত হয়েছে মালদ্বীপের মানুষ। মালদ্বীপের চিকিৎসা স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা করেছে এই ভারতই। মালদ্বীপের আমজনতার জন্য সে দেশে বিমান পরিষেবার চালিয়ে যেতে চেয়েছিল ভারত। ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানের মাধ্যমে একাধিকবার সাহায্য-পাঠানো হয়েছে মালদ্বীপে।। যখন মালদ্বীপে মুইজ্জুর সমর্থনে ইন্ডিয়া আউট স্লোগান উঠেছে তখনও কিন্তু ভারত চিনি গম চাল পেঁয়াজের মত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মালদ্বীপে রপ্তানি করেছে।। প্রথম থেকে সুযোগ নিয়েছে মালদ্বীপ।। কিন্তু এক দিক থেকে সম্পূর্ণভাবে এফোর্ট দিয়ে যাওয়া ভারতের পক্ষেও আর সম্ভব নয়। যেখানে ভারতকে বারবার অপমান করা হচ্ছে সেখানে তো নয়ই।।
ভারতকে আল্টিমেটাম দিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলেছিল মালদ্বীপ।। শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশ হিসেবে মালদ্বীপের আলাদা একটা সম্মান আছে বলেই ভারত অনুদান দিয়ে গেছে।। নয়তো অন্য মানসিকতা রাখতে ভারত ।। ফ্রিতে নাকি সামরিক সহায়তা দেবের চীন। যা বিশ্বাস করেছে মালদ্বীপ। কিন্তু ঠিক কিভাবে মালদ্বীপের সামরিক ক্ষেত্রে সাহায্য করবে বেজিং তা খোলসা করে বলতে পারেনি।। গোটা বিষয়টা নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আসলে মালদ্বীপকে হাতে রেখে ভারত মহাসাগর তথা সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রভাব বাড়াতে চায় চীন ।যা ভারতের অজানা নয় ।। বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ স এর আওতায় শ্রীলংকার হাম্বাণ্টোটা বন্দর থেকে পাকিস্তানের গদরবন্দর দখল করে নিয়েছে চীন সেই উদাহরণ আছে ।। মালদ্বীপের বন্দরে নোংর করেছিল চীনের একটি হাইটেক গবেষণা জাহাজ আসলে মালদ্বীপকে আসতে-পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলতে চাইছে চীন । আর বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া লেখালেখি করছে ভারত অস্বস্তিতে পড়েছে বিরম্বনায় পড়েছে এক্সট্রা ।। সুযোগ পেলেই খোঁচা দেওয়া ছাড়ছেনা।। ভারত যদি এমনটা করতে শুরু করে তাহলে চাপে পড়তে হবে মালদ্বীপকে এবং বাংলাদেশকেও।। ভারতীয় সেনার দ্বিতীয় ব্যাচ যখন মালদ্বীপ ছাড়ে তখন থেকেই মজুর নয়া আবদার দিল্লির কাছে শুরু হয়ে গেছে।। ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের দাম মলদ্বিভিয়ান রুফিয়ার মাধ্যমে মেটাতে চায় মালে। স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মালদ্বীপ।। ভারত থেকে ৭৮০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে থাকে দেশটা । আর দিল্লী যদি এই আবদার মেনে নেয় তাহলে তো লাভই লাভ মালদ্বীপের।। দেশটার অর্থনীতি কিন্তু সাম্প্রতিককালে ধুঁকতে শুরু করেছে।। ঘুরেফিরে আবার না ভারতের কাছেই আসতে হয়।।
স্থিতিশীল অর্থনীতি রাখতে গেলে প্রতিবেশী দেশগুলোর তো ভারতকেই দরকার পড়ে।। সুর বদলে ভারতকে ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।। মইজো আশা করছেন ভারত থেকে আগের সরকার যার ঋণ নিয়েছিল তা মওকুফ করে দেবে দিল্লি। গত বছরের শেষে ভারত থেকে চল্লিশ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল মালদ্বীপ। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৯ শ কোটি রুপি। মালদ্বীপকে স্বীকার করতে হয়েছে দেশটাকে ভারত না সাহায্য করেছে তা অগ্রগণ্য। বহুসংখ্যা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে ভারতের জন্য। ভারত মালদ্বীপের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থাকবে এভাবেই হাতে রাখার চেষ্টা ভারতকে করতে হচ্ছে মুইজুকে।। তাহলে কিসের ইন্ডিয়া আউট স্লোগান সাকসেসফুল? ভারত কি মালদ্বীপের থেকে কিছু প্রত্যাশা করে? ভারতের সঙ্গে সব দেশ যে একমত হবে তার গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয় আসলে রাজনীতিটা রাজনীতি।। জয় শংকর অন্তত তাই বলেছেন এস জয়শঙ্কর তাই বলেছেন ।। গত ১০ বছর ধরে পৃথিবীর সমস্ত বাকি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে ভারতের। তবে প্রতিবেশীদের কেউ কেউ ভারতের থেকে সাহায্য নিয়ে ভারতকে কোন ঠাসা করতে চায়।। তবে সে বিষয়ে কড়া নজর রয়েছে দিল্লির ।।
ভারতীয় সৈন্যরা আগলে রেখেছিল মালদ্বীপ-কে
মালদ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্টে ভারতীয় সৈন্যদের পাঠানো হয়েছিল মালদ্বীপের সৈন্যদের প্রশিক্ষণের জন্য। উভয় ক্ষেত্রে যুদ্ধ এবং পুনরুদ্ধার উদ্ধার সহায়তা কার্যক্রমের জন্য।। ভারতীয় সৈন্যরা প্রকৃত সামরিক অভিযানের জন্য মালদ্বীপে প্রবেশ করেছিল ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে । তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মাউমুন আব্দুল গাইয়ুমের সরকারের অনুরোধে একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে ।। ভারতীয় সৈন্যরা রাষ্ট্রপতিকে সুরক্ষিত করতে এবং বিদ্রোহীদের ধরতে সক্ষম হয়। দীর্ঘ সময় ধরে দেশটিতে মানবিক কারণে সহায়তা করে এসেছে ভারতীয় সেনা।। একাধিকবার ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দুর্গতদের উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হয়ে ম্যুইজ্জু প্রথম সিদ্ধান্ত নিলেন মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরাতে হবে ভারতীয় সেনা সরাতে হবে।। ভারত সেনা প্রত্যাহার করে নিলো মালদ্বীপ থেকে।।। সহায়তার জন্য থাকলো চীন।। এখন ভারতের অবজার্ভ করার পালা।।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম