।। প্রথম কলকাতা ।।
এবার ভারতীয় রেলের ব্যবসায় আদানি গোষ্ঠী IRCTC চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে আসছে আদানির নয়া সংস্থা। নাকি আদানিই একাই কিনে নেবেন IRCTC কতটা সত্য তথ্য জানেন? নাকি ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে হিন্ডেনবার্গে থিওরি কি তাহলে ভুল প্রমাণ হবে এবার? খবরটার গুরুত্ব আসলে কি সেটা কি পরিস্কার আপনার কাছে? বিদ্যুতের পর রেলেও আদানির নাম৷ সাধারণ মানুষের লাভ হবে না ক্ষতি? আইআরসিটির বিকল্প বানাচ্ছেন না তো আদানি? বড় বিতর্কের ঝড় ওঠার চান্স এবার রেলের টিকিট বুকিং করবে আদানির কোম্পানির কড়া প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে চলেছে IRCTC, নাকি রেলকে বেসরকারিকরণ করার এটাই প্রথম ধাপ? অনেকেই বলছে ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে কার্যত IRCTC একচ্ছত্র সাম্রাজ্যে কি ধাক্কা লাগতে চলেছে।
প্রশ্ন উঠছে আদানির সংস্থা ট্রেনের টিকিট বিক্রি করলে তাতে সাধারণ মানুষের লাভ ঠিক কোথায়? নাকি লাভের বদলে লোকসান বেশি? গভীরে গিয়ে সব বিশ্লেষণ জলের মতো পরিস্কার হবে গোটা খবর। ফ্লাইটের মতো ট্রেনের টিকিটও কি অ্যাভেলেবেল থাকবে এতে? IRCTC ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন মনে রাখতে হবে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ও IRCTC আলাদা কিন্তু আলাদা। মানে IRCTC-কে পুরোপুরি সরকারি সংস্থা বলতে পারেন না আপনি। ভারতীয় রেলওয়ের সহায়ক সংস্থা হল IRCTC উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে এটার মালিক ভারত সরকার হলেও সেটা ৬৮ শতাংশ। দ্বিতীয় বড় বিনিয়োগকারী হল LIC এছাড়াও আরও বিনিয়োগকারী রয়েছে। এখন খবর হল আদানি এন্টারপ্রাইজেসের তরফে স্টক মার্কেটকে জানানো হয়েছে তারা স্টার্ক এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড থেকে টিকিট বুকিং প্ল্যাটফর্ম ট্রেনম্যানের ১০০ শতাংশ শেয়ার কিনতে চলেছে।
ট্রেনম্যান কি?
সোজা জবাব এটা হল একটা ট্রেনের টিকিট বুকিং অ্যাপ। আপনাদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু এর থেকে টিকিট বুকও করেন তাহলে এবার ট্রেনম্যান কি টেক্কা দেবে IRCTC-কে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, একেবারেই তেমন নয় ব্যাপারটা। তাহলে প্রশ্ন উঠছে ট্রেনম্যান নামক এটা অ্যাপের শেয়ার কিনে এমন কি করে দিলেন আদানি? এই খবর নিয়ে এত হইচই কেন হচ্ছে? এখানেই রয়েছে আসল খেলা। হিন্ডেনবার্গ ইস্যুর পর কিছু মাস কোনও অধিগ্রহনের কাজ করেনি আদানি গোষ্ঠী।
এবার ট্রেনম্যান দেখাতে পারে বড় খেলা। কিন্তু এ নিয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা করতে IRCTC জবাব দেয় বি২সি মডেলে IRCTC অনুমোদিত ৩২টি সংস্থার একটি হল ট্রেনম্যান। এর মানে ট্রেনম্যান আইআরসিটিসির সঙ্গে জুড়ে কাজ করে এরকমই মেক মাই ট্রিপ, পে টিএম অনেক সংস্থাই কাজ করে।
এখানে বড় ফারাক রয়েছে IRCTC করোনাকালে এক ব্যবস্থা চালু করেছিল একে বলা হয় ফ্ল্যাক্সি ফ্লেয়ার ব্যবস্থা। এর মানে ফ্লাইটের ক্ষেত্রে যেমন যাত্রার দিনও টিকিট চাইলে টিকিট পাবেন আপনি তাতে হয়ত ২ হাজারের টিকিট ১৫ হাজারে কিনতে হতে পারে আপনাকে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে কোন গন্তব্যে যাওয়ার সময়। IRCTCতে যখন টিকিট সহজলভ্য থাকে না তখন সেটা কিন্তু ট্রেনম্যানে আপনি পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে এই ফ্লেক্সি ফেয়ার ব্যবস্থাই থাকে। মানে টিকিট আপনি পাবেনই পাবেন শুধু টাকাটা বেশি দিতে হবে আপনাকে। আর সেই ট্রেনম্যানই এবার কিনছে আদানি গোষ্ঠী৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম