।। প্রথম কলকাতা ।।
China Covid 19: গোটা বিশ্ব যখন টানা দু’বছর করোনা মহামারীর (Corona Pandemic) পর ধীরে ধীরে একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচছে, তখন নতুন করে চীনে (China) শুরু হয়েছে করোনার দাপট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) বারংবার চীনকে বলেছে, যাতে করোনা সংক্রান্ত তথ্য না লুকায়। ২০১৯ সালে উহান থেকে যখন করোনা গোটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, তখন যদি চীন প্রথমে সত্য তথ্য প্রকাশ্যে আনত তাহলে হয়ত বিশ্বব্যাপী এত বড় মহামারী হত না। এমন অভিযোগ বারংবার বিশেষজ্ঞ মহল থেকে উঠে এসেছে। এখন সেই চীন করোনার কারণে বিধ্বস্ত। প্রশ্ন উঠছে চীন কি সত্যি তথ্য লুকিয়েছে? দেশটির জনপ্রিয় প্রদেশ হল হেনান, যার জন সংখ্যা ৯.৯৪ কোটি। তার মধ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৮.৮৫ কোটি অর্থাৎ দেশটির তৃতীয় জনবহুল এই প্রদেশে প্রায় ৯০% ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
২০২২ এর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি হেনানের বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে শুরু করে হাসপাতালে করোনা সংক্রমিতদের ভিড় উপচে পড়ছিল। এখন সেই প্রদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ করোনা সংক্রমিত, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় হেনান প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের ডিরেক্টর কান কোয়ানচেং। তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ২০২৩ এর ৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত হেনান প্রদেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই লাল ফৌজের সরকারের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
চীন প্রথম থেকেই জিরো কোভিড নীতি অনুসরণ করে করোনা সংক্রমণ রুখতে চেয়েছিল। কিন্তু দম বন্ধ করা পরিবেশে থাকতে না পেরে অবশেষে চীনা জনগণ বারংবার সেই নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে. অবশ্য দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সামলাতে চীন জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহার করে। তারপরেই সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। বছরের শেষে চীন লকডাউন তুলে নিয়েছে। অপরদিকে নতুন বছর শুরু হওয়া মানেই নানান উৎসব। তার মাঝে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সংক্রমণ। এখন চীনে দাপট চালাচ্ছে ওমিক্রনের নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7)।
চীনের সরকারি তথ্য বলছে গত বছর ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহার করা হয়, তখন করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার। পাশাপাশি দেশটি বেশ গর্বের সঙ্গে দাবি করে, অতিমারি পরিস্থিতির সামলানোর ক্ষেত্রে তারা অনেকাংশে জয়লাভ করেছে। তখন চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, দেশটি নাকি করোনা সম্পর্কিত নানান তথ্য লুকিয়েছে। একই দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমত পরিস্থিতিতে যদি হেনান প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্তার তথ্য সত্যি হয়, তাহলে ধরে নিতেই হবে এতদিন চীনা সরকার করোনা সংক্রমণের তথ্য লুকিয়ে এসেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম