।। প্রথম কলকাতা ।।
AC Side Effects: এসির ঠাণ্ডা হাওয়া ছাড়া কিছুতেই ঘুমাতে পারছেন না? গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন এসির হাওয়া। জানেন কি এই অভ্যাসেই ভেতর থেকে ঝাঁঝরা হচ্ছে শরীর! জানেন চুপিসারে কোন ৫ রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? চিকিৎসকরা বলছেন, ‘আজই হয়ে যান সাবধান’। এসির অভ্যাস না কাটালে পড়বেন চরম বিপদে। ঠিক কী বলছেন চিকিৎসকরা?
এই চাঁদিফাটা গরমে এসি ছাড়া চলা বেশ কষ্টকর। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন এই শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটিকে। কেউ কেউ তো আবার ভাবছেন সারাক্ষণ এসির নিচে থাকলেই মিলবে স্বস্তি। তবে জানেন অজান্তেই কতটা বিপদ ডেকে আনছেন? জানেন কি দিনরাত এসিতে থাকার কারণে নিঃশব্দে কত রোগবালাই বাসা বাঁধছে শরীরে?
একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে, এই অসহ্য গরমে নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেয় এসি। বাইরে যতই জ্বালাপোড়া থাকুক না কেন, এসি রিমোটের সুইচ টিপলেই নেমে আসে শান্তি। যে কারণে আজকের টেকস্যাভি মানুষ গরম সহ্য করার বদলে একটা এসি কিনে ফেলাই বেশি সুবিধার বলে মনে করছে। আবার অনেক সময় আপনি হয়ত গরম সহ্য করে নিতে পারছেন কিন্তু সঙ্গীর গরম লাগছে বলে টানা এসিতে থাকতে হচ্ছে আপনাকেও।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ‘সাবধান’। লাগাতার এসিতে থাকার অভ্যাস থাকলে আজই বদলে ফেলুন সেই অভ্যাস। কারণ লাগাতার এসির ফলে বাড়ছে দীর্ঘমেয়াদি অসুখের ঝুঁকি। যার মধ্যে এই পাঁচটি রোগের বাড়বাড়ন্ত তো ব্যাপক। জানেন কী কী সেই রোগ? সেটাই তুলে ধরব আজকের প্রতিবেদনে।
ড্রাই আইজ : লাগাতার এসিতে থাকার ফলে যে সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হল ‘ড্রাই আইজ’। কারণ এসি বাতাসের আর্দ্রতাকে শুষে নেয়। যে কারণে চোখের সমস্যা শুরু হয়।
ত্বকে অস্বস্তি : এসি চালিয়ে আপনি হয়ত সাময়িক স্বস্তি পাচ্ছেন ঠিকই, তবে যারা লাগাতার এসিতে থাকছেন তাদের ত্বকে চুলকানি, র্যাশের মত সমস্যা দেখা যেতে পারে। এছাড়াও স্কিন ড্রাই হয়ে যাওয়ার সমস্যা তো রয়েইছে। তাই যারা সর্বক্ষণ এসির নিচে বসে রয়েছেন তারা অবশ্যই ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মাথা যন্ত্রণা : দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকার ফলে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যেটা হতে পারে তা হচ্ছে মাথা যন্ত্রণা। এটা হয়ত আপনিও লক্ষ্য করেছেন যে, এসিতে থাকলে তুলনামূলক কম জল খাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে তীব্র মাথা ধরার সমস্যা দেখা দেয়।
শ্বাসকষ্ট : যাদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা একটু এসি অ্যাভয়েড করেই চলুন। কারণ এসি চললে জানালা-দরজা বন্ধ রাখতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাইরের আলো বাতাসের অভাব দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ক্লান্তি : দীর্ঘদিন এসিতে থাকলে শরীরে ক্লান্তিভাব চলে আসে। বাইরের টাটকা হাওয়া থেকে দূরে থাকার কারণে শরীরের সতেজতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। যান্ত্রিক কৃত্রিমতা শরীর ভিতর থেকে দুর্বল করে তোলে। যে কারণে সারাক্ষণই ক্লান্ত লাগতে থাকে।
তাই বলে কি এসি একেবারেই ব্যবহার করবেন না? নাহ্, এমনটাও নয়। অবশ্যই এসি ব্যবহার করুন তবে নিয়ম মেনে। একটানা এসি না চালিয়ে, ঘর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এসি বন্ধ করে দিন। সেই সাথে চেষ্টা করুন বাইরের তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাপমাত্রা সেট করতে। দেখবেন অতটাও সমস্যা হবেনা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম