।। প্রথম কলকাতা ।।
Tollywood: বিয়ের ৬ মাসেই শ্রীপর্ণার উপর চরম বিরক্ত তার স্বামী। অভিনেত্রীর কথায়, বরের কাছে ৬ মাসেই ‘বাজে মেয়ে’ হয়ে উঠেছেন তিনি। কেন জানেন? দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে দাম্পত্য কলহের কথা শোনালেন কড়ি খেলার কড়ি। বিয়ের পর নাকি আমূল বদলে গেছে তার ডাক্তার বর। উপায় না পেয়ে এবার স্বামীর কেবিনে সিসিটিভিও লাগাতে চান শ্রীপর্ণা রায়। ভক্তরা তো শুনে বিশ্বাসই করতে পারছেনা। বিয়ের মাত্র ছ মাসের মাথায় কী এমন ঘটিয়ে ফেললেন শ্রীপর্ণার স্বামী?
গত নভেম্বরেই ধুমধাম করে বিয়ে সেরেছেন অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অভিনেত্রীর দাম্পত্য জীবনে যে হুলস্থুল কাণ্ড! তার ডাক্তার বর নাকি আর তাকে সহ্যই করতে পারছেন না। বিয়ের মাত্র ৬ মাসেই নাকি খারাপ মেয়ে উঠেছেন শ্রীপর্ণা? কিন্তু কেন? কী জানালেন শ্রীপর্ণা রায়?
কিছুদিন আগেই ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে এসে হাজির হয়েছিলেন কড়ি খেলার খড়ি। এখন সদ্য বিবাহিত অভিনেত্রী মঞ্চে হাজির, আর তার বিয়ের গল্প হবেনা তাই কখনও হয়? সেদিনও বেশ রসিয়ে রসিয়ে শুরু হল শ্রীপর্ণার বিয়ের গল্প। আর তখনই বেশকিছু বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন অভিনেত্রী। শ্রীপর্ণার কথায়, বিয়ের আগে নাকি দারুণ টেক কেয়ার করতেন ডাক্তার বর শুভদীপ। সবসময়ই আগলে রাখতেন হবু বউকে। কিন্তু বিয়ে হতেই দেখা গেল অন্য রূপ।
জেনে অবাক হবেন যে, ডাক্তার বরকে নাকি কড়া নির্দেশও দিয়ে রেখেছেন। হাসপাতালে গিয়ে কোনও মেয়ের সাথে কথা বলা যাবেনা, বন্ধুত্ব করা যাবেনা। এমন কী কেবিনে সিসিটিভি অবধি লাগানোর কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু কেন জানেন? শুনলে সত্যিই চমকে উঠবেন।
বিয়ের ছয় মাস পার হতে না হতেই নাকি শ্রীপর্ণার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শুভদীপ। আর এখন নাকি তাদের সম্পর্কটাই হয়ে গেছে ভাইবোনের মত। সারাক্ষণ নাকি চলতে থাকে ঝগড়া। ভাবুন দেখি! এই সদ্য সদ্য বিয়ে হয়েছে, এখন কোথায় চুটিয়ে রোম্যান্স করবে তা নয়, এখন থেকেই ঝগড়া। ভক্তরাও কিন্তু কম কিছু যায়না। শ্রীপর্ণার এই কথা শুনেই শুরু হয়ে গেছে লেগ পুলিং।
কেউ লিখেছেন, আরে সারা জীবন তো এমনিও ঝগড়াই হবে। এখন তো অন্তত একটু প্রেমটা করে নিতে পারতে। আবার কেউ লিখেছেন, বিয়ের পর এমনিও সম্পর্ক ভাইবোনের মতই হয়ে যায়। তবে তোমাদেরটা একটু বেশিই আগে হয়ে গেছে। আপনি কী বলেন?
আচ্ছা হবে নাই বা কেন বলুন তো? সারাক্ষণ যদি কেউ নিজের বরকে এইভাবে জ্বালাতন করতে থাকে তাহলে বেচারা কী আর করে। শোনা গেল, শুভদীপের ফোন থেকে অন্য মেয়েদের সাথে চিটচ্যাট অবধি করতে থাকেন শ্রীপর্ণা। আপনিও করেন নাকি এমন? কখনও বরের ফোন থেকেই অন্য কোনও মেয়ের সাথে চ্যাট করার অভিজ্ঞতা আপনারও কি রয়েছে? তাহলে কমেন্ট জানাবেন সেই অভিজ্ঞতার কথা।
তবে যাই বলুন না কেন, বিষয়টা কিন্তু বরদের জন্য সার্বিকভাবে দুঃখজনক। বেচারা জানতেও পারল না তার ফোন থেকেই তার নিজের বউ চ্যাট করল, আর শেষমেষ তাকেই ফাঁসিয়ে দিল। হ্যাঁ হ্যাঁ, পুরোটা মজার ছলে যদিও। তবে বিষয়টা বরদের জন্য কিন্তু সত্যিই দুঃখজনক। আর সেই কারণেই রচনা ব্যানার্জিও শ্রীপর্ণাকে বলে উঠলেন, ‘বেচারির সব রক্ত তুই শুষে নিবি’। ওদিকে নেটিজেনরা বলছেন, এমন স্ত্রী পেলে সত্যিই সমস্যা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম