।। প্রথম কলকাতা ।।
Lightening: মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে ৪৫টি বাজ পড়েছে কলকাতায়! আচ্ছা আপনার ঘরের জানলা দিয়ে কি বিদ্যুতের হলকা ঢুকে যাবে। বজ্রপাতের সময় কি মোবাইল ব্যবহার করে চলেছেন? টিভি এসি ফ্রিজের প্লাগ খুলে রেখে দিচ্ছেন। কিন্তু আসল হল মোবাইল ফোন। যখন তখন বোমার মতো ফেটে যাবে। রাস্তায় বেরোলে আরও বড় সর্বনাশ। বাজ পড়ার সময়ে কী করবেন, কী করবেন না? জানেন কি আদৌ?
সোমবার সন্ধ্যায় তিন ঘণ্টার ঝড়বৃষ্টিতে শুধু কলকাতাতেই ৪৫টি বাজ পড়েছে। প্রাণও গিয়েছে। বৃষ্টিতে ভেজার নামে বা বৃষ্টির ছবি তুলতে ছাদে উঠে মোবাইল ব্যবহার না করারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পরামর্শ, কোনও ফাঁকা জায়গায় থাকলে মাটিতেই হাঁটু মুড়ে বসে পড়তে হবে। যাতে আশপাশের কোনও কিছুর থেকে নিজের উচ্চতা বেশি না হয়। এই সময়ে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে উঁচু বাড়ি, বহুতল বা গাছের আশপাশ থেকে সরে আসতে হবে। দ্রুত কোনও পাকা ছাদের নীচে আশ্রয় নিন। মনে রাখবেন সেই সময় ফাঁকা জায়গা বাজ বেশি পড়ে।
এই সময়ে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে উঁচু বাড়ি, বহুতল বা গাছের আশপাশ থেকে সরে আসতে হবে। দ্রুত কোনও পাকা ছাদের নীচে আশ্রয় নিতে হবে বলছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু মোবাইল ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। যদিও একাধিক বিজ্ঞানীরা বলছেন,আমরা যদি বৈজ্ঞানিকভাবে দেখি, মোবাইল ফোন সিগন্যালের জন্য রেডিও তরঙ্গ এবং বৈদ্যুতিক চৌম্বক তরঙ্গ ব্যবহার করে। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা আপনাকে বলি যে এই তরঙ্গগুলির মধ্য দিয়ে বিদ্যুত কখনই যায় না। অর্থাৎ এই রেডিও তরঙ্গগুলির মাধ্যমে বিদ্যুৎ কখনই আপনার ফোনে পৌঁছতে পারে না। তাই বলা যেতে পারে বজ্রপাত কখনই মোবাইল ফোনে পৌঁছতে পারে না এবং বজ্রপাতের কারণে ফোন ব্যবহার করা উচিত নয় এটা অনেকাংশে ভুল। যদিও আরেকাংশের বিজ্ঞানীরা এই কথাটা মানতে পারছেন না।
সোমবার সন্ধ্যায় তিন ঘণ্টার ঝড়বৃষ্টিতে শুধু কলকাতাতেই ৪৫টি বাজ পড়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে মোবাইলে কথা বলতে বলতে ছাদে উঠে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছিল রিজেন্ট পার্কের কৌশিক করের। বছর ২৪-এর ওই যুবকের পরিবার এদিন জানায়, মোবাইলটা ঝলসে পাশেই পড়েছিল। কৌশিক যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন, সেখানকার ছাদও ফুটো হয়ে গিয়েছে। এভাবেও যে মৃত্যু হতে পারে, এখনও যেন বিশ্বাসই করে উঠতে পারেনি তাঁর পরিবার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম