।। প্রথম কলকাতা ।।
Imran Khan: পাকিস্তানে ইমরান খানের দল পিটিআই নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। চমৎকার চিন্তাভাবনা। নেক্সট স্টেপ এখনই ছকে ফেললেন পিটিআই চেয়ারম্যান। নেক্সট স্টেপ কী হবে যদি এই পার্টিটা নিষিদ্ধ হেয়ে যায়। তেহেরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানে যেন এক্সোডাসের ছায়া। কোন অজানা কারণে একের পর এক তাবড় নেতা নেত্রীরা দল ছাড়ছেন। রাজনৈতিক সংকট ইমরান খানকে পিছনেই ঠেলবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যে পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়েছিল পাকিস্তান সেটারই সম্মুখীন হবে? সিভিল ওয়ার বা গৃহযুদ্ধ আরও তীব্র হচ্ছে সেখানে। কিন্তু তার মাঝেই ব্যান করে দেওয়া হতে পারে ইমরান খানের দল পিটিআইকে। এ নিয়ে প্রায় অনেক দিন ধরেই আলাপ আলোচনা চলছে।
তার মাঝেই লাস্ট আপডেট, এবার কি হতে পারে প্রকাশ্যে বলেই দিলেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ। শাহবাজ সরকার বা পাক আর্মি ঠিক কে কে চাইছে তেহেরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান ব্যান হয়ে যাক এটা জানলেই পরিস্কার হয়ে যাবে পুরো হিসেবটা। কিন্তু যখন এসময় পিটিআইয়ের আরও জোটবদ্ধ হওয়া উচিত তখন নাকি এক এক করে দল ছেড়ে দিচ্ছেন তাবড় তাবড় নেতা নেত্রী। হোসাইন সিদ্দিকী, পিটিআই পশ্চিম পাঞ্জাবের সভাপতি ফায়জুল্লাহ কামোকা। পিটিআই থেকে নির্বাচিত পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য আবদুল রাজ্জাক খান। পদত্যাগের খাতায় বড় নাম পিটিআইয়ের অন্যতম প্রভাবশালী নেত্রী শিরিন মাজারি। দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদত্যাগের ঘোষণায় চাপে থাকা ইমরান খানের জন্য এটা বড় ধাক্কা বলছে কূটনৈতিক মহল।
আর এইদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেদিয়েছে যে পাকিস্তানের সরকার চিন্তাভাবনা করছে পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার। তবে পিটিআই নিষিদ্ধ হলে কি করতে হবে ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। একেবারে প্ল্যান বি এখন থেকে রেডি। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত
পারভেজ খটক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন আমরা আমাদের দলকে নিষিদ্ধ করার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। এরমানে একবার এই ব্যান হওয়ার ছাপ্পা পড়লে দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত পিটিআইকে নিতে হবে৷ খটকের দাবি, যদি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে পার্টি নতুন নাম নিয়ে রাজনীতি করবো।
এক্ষেত্রে কূটনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা পাকিস্তানের জোট সরকারের অনেক নেতাই কোনো ধরনের রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নন। তাদের মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভু্ট্টো জারদারি অন্যতম। ২০২০ এবং ২০২১ সাল মানে এই পিটিআইয়ের আমলে দুটি দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সিন্ধ প্রদেশের জয় সিন্ধ ক্বওমী মাহাজ-আরিসার (জেএসকিউএম-এ) এবং তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান। অবশ্য এটাও বলে রাখতে হয় ২০২১ সালেই তেহরিক-ই-লাব্বাইকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে পিটিআইয়ের ভাগ্যে কি বিপদ লেখা রয়েছে সেটা তো সময়ই বলবে।
অনেকেই বলছেন তার আগে পিটিআই দল চালানোর জন্য কত জন নেতা বাঁচেন সেটাও কিন্তু দেখার। সেনা আইনের কোপে পড়ার ভয় ইতিমধ্যেই অনেক খেল দেখিয়েছে পাকিস্তানে। ৯ মের অশান্তি ঘটনায়’ সামরিক বাহিনীর ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের সেনা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিচারের একটি প্রস্তাবও পাস করেছে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে। পিটিআইকে পাকিস্তানের পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত আর কী কী ভাবে পর্যুদস্ত করা হয় সেটাই এখন দেখার৷ আর পরিস্থিতি কোন পথে সামলান ইমরান খান বড়ো পরীক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম