।। প্রথম কলকাতা ।।
Imran Khan: কাশ্মীরের সওদা করেছে ইমরান খান। চমকে দেওয়া মতো অভিযোগ। শেষপর্যন্ত জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জোট বাঁধলেন ইমরান। দুর্ধর্ষ স্ট্র্যাটেজি হার মানার সিন নেই। বালোচিস্তান থেকে আবারও উঠতে পারে বিক্ষোভের ঝড়। এবার পাক সেনা সাবধান বলছেন অনেকেই। ধর্মের কল এবার বাতাসে নড়ছে ইসলামাবাদের। সামনে সাংবাদিক বৈঠক আর পিছনে মোক্ষম চাল। তেহেরিক-ই- তালিবানের কথা মনে আছে? এক সময় মালাই-মাখন খাওয়ানো পাক তালিবানই এখন ইসলামাবাদের হাড় হিম করা দুশমন। তাই শত্রুর শত্রু তো মিত্র হয়। ইমরান এবার চাললেন সেই চালই।
তলায় তলায় জল গড়িয়ে গেছে অনেকদূর। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এতদিন টেরই পায়নি। ইমরান খানকে একা ভাবলে মারাত্মক ভুল হবে। সঙ্গে রয়েছে আরও চৌখস এক বাহিনী। যারা চায় পাকিস্তানের আর্মি একেবারে শেষ করে দিতে। ইমরান খান বলছেন অক্টোবরের মাঝামাঝির মধ্যে ভোট করাতেই হবে। শাসকের মনোভাব হল তার মধ্যে পিটিআইকে যতটা দুর্বল করা যায় করে দেওয়ার। যে দিন শাসক বুঝতে পারবে পিটিআই আর ভোটে জেতার অবস্থায় নেই সে দিনই ভোট ঘোষণা হবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সামনে ইমরানকে মুখ খুলতে দেখে এবার নতুন পন্থা নিল পাকিস্তানের সরকার৷ কাশ্মীর পাকিস্তানের চিরকালীন জলন্ত ইস্যু। ইমরান খান নাকি আমেরিকায় গিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রীতিমত চক্রান্ত করেছিলেন। যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান খান তখন ততৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে কাশ্মীরকে বেঁচে দিয়ে এসেছিলেন। ভুল করবেন না এটা ভারতের কাশ্মীর নয় পিওকে নিয়ে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এমনই দাবি করেছেম মুসলিম-লিগের নেত্রী মরিয়ম নওয়াজ।
পিটিআইয়ের দাবি, পিওকে-তে গিয়ে সেখানকার মানুষদের উস্কাচ্ছে সরকার৷ ইমরানের বিরুদ্ধে আসলে ফন্দি আটা হচ্ছে মানুষকে উস্কানোর, মানুষকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে করে দেওয়ার। এদিকে ইমরান খান যা করলেন তাতে পাকিস্তান রক্তচাপ বেড়ে গেল। তেহেরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে রীতিমত হাত মেলালেন ইমরান খান। তিনি বা তাঁর দল টিটিপির সঙ্গে জোট বাঁধছে এমন খবর কোথাও প্রকাশ হয়নি ঠিকই। তাহলে কীভাবে প্রকাশ্যে এল এমন চমকে দেওয়ার মতো খবর? টিটিপির কমান্ডার সরবাকফ মোহাম্মদ রীতিমত আপ্লুত। ইমরান খান গ্রেফতারে বিরোধিতায় পিটিআই সমর্থকেরা যে খেল দেখিয়েছে ৯ মে খানসাহেবের গ্রেফতারির পর পাকিস্তান যেভাবে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছিল সেসময় পিটিআইয়ের সমর্থকেরা যে তান্ডব চালিয়েছিল তাতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে টিটিপি বা তেহেরিক ই তালিবান।
কয়েকটা মাস আগেই পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল টিটিপি৷ প্রশ্ন উঠেছিল পাকিস্তান তালিবানদের দখলে চলে যাবে না তো? রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে এখন টালমাটাল পরিস্থিতি পাকিস্তানের। এই অবস্থায় নখদাঁত বার করে পাকিস্তানকে টুকরো করতে আবার ময়দানে টিটিপি শাহবাজ সরকারের তরফ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে। পাকিস্তানে অশান্তি ছড়ানোর নেপথ্যে খানের সমর্থকদের সঙ্গে টিটিপিও ছিল না তো? পাকিস্তানে ইমরান খানের রাজনীতির জাল যে অনেক গভীর পর্যন্ত তিনি ছড়িয়ে রেখেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে খুব ভালোভাবেই৷ কিন্তু তাতে আদতে কি লাভ হয় সেটাই দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম