।। প্রথম কলকাতা ।।
Mukesh Ambani: মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) তাঁর মেয়ের বিয়েতে দেখিয়ে দিয়েছিলেন খরচ করা কাকে বলে। এবার নিজের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি (Anant Ambani) আর রাধিকা মার্চেন্টের (Radhika Merchant) আংটি বদল (Engagement) অনুষ্ঠানের জাঁকজমক আয়োজন গোটা দেশের নজর কেড়েছে। বিলাসিতার চাকচিক্যে বারংবার মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানির নাম উঠে এসেছে। আম্বানি পরিবারের অনুষ্ঠান মাত্রই বিলাসিতার ঝলকানি, যা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে যারা কাজ করেন তাদের ছেলে মেয়েরাও বিদেশে পড়ে। মুকেশ আম্বানির কর্মচারীদের বেতন লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে মুকেশ আম্বানির বাড়িতে কাজ পাওয়া একেবারেই মুখের কথা নয়। রীতিমত একের পর এক কঠিন পরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে তবেই সেই কাজ পাওয়া যায়। দেশের অন্যতম ধনীদের শীর্ষে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। তাঁর কি নেই! বিশ্বের দামি দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি থেকে শুরু করে বড় বড় বাড়ির মালিক এবং তাঁর বিলাসিতা সবকিছুকে টপকে যায়। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি এবং টেলিকম শাখা জিওর হাত ধরে আম্বানি পরিবারের অফুরন্ত ধনভান্ডার অব্যাহত রয়েছে।
আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এশিয়ার এই ধনী পরিবারের রান্না ঘরের খবর ভাইরাল হবে না, এমনটা আবার হয় নাকি! মুকেশ আম্বানির বাড়িতে যারা কাজ করেন, এমনকি যারা রান্নার কাজ করেন তাদের বেতন শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠে। সারা বিশ্বের বড় বড় ফাইভ স্টার হোটেলের রাঁধুনিরাও অত টাকা বেতন পান না। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে যারা খাবার রান্না করেন তাদের মাসিক আয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। তাদের সন্তানরা পড়াশোনা করে বিদেশে। মুকেশ আম্বানির বিলাসী জীবনের অন্যতম অঙ্গ হল, তার বাড়িতে থাকা প্রায় ১ হাজার জন কাজের লোক। একবার শুধু ভাবুন, এই এত পরিমাণ কাজের লোককে তিনি ঠিক কত টাকা বেতন দেন? নিঃসন্দেহে সেটি বহু কোটির গণ্ডি পেরিয়ে যাবে।
এখানে চাকরি পাওয়া অত সোজা নয়। রীতিমত পরীক্ষার বেশ কয়েকটি কঠিন ধাপ পেরিয়ে তবেই মুকেশ অন্দরে প্রবেশ করা যায়। একবার মুকেশ আম্বানির বাড়িতে কেউ চাকরি পেলে একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী থেকেও বেশি সুযোগ সুবিধা পান। তাই মুকেশ আম্বানির বাড়ি ২৭ তলা অ্যান্টিলিয়া প্রায় ৫৭০ ফুট উঁচু। এখানে একটি ব্যক্তিগত এলাকা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দেহরক্ষী, নিরাপত্তা প্রহরী এবং অন্যান্য সহকারীরা বিশ্রাম নিতে পারেন। অ্যান্টিলিয়ার ষষ্ঠ তলা পার্কিংয়ের জন্য করা হয়েছে। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে এ চাকরি পেতে গেলে প্রথমে ভ্যাকান্সি অনুযায়ী সঠিক নিয়মে ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। ফর্ম ফিলাপের শেষে আয়োজিত এক লিখিত পরীক্ষা। সেখানে উত্তীর্ণ হলে তবেই পাবেন মোটা মাইনের চাকরি। এই লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয়। যিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তাকে পরবর্তী পর্যায়ে বসার জন্য নির্বাচিত করা হবে। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে রাঁধুনিরা কিন্তু কোন বিশেষ আইটেম বা পদ রান্না করে মাসে ২ লক্ষ টাকা বেতন পান না। কারণ মুকেশ আম্বানির বাড়িতে তৈরি হওয়া বেশিরভাগ খাবার অতি সাধারণ। মুকেশ আম্বানি নিরামিষভোজী এবং সাধারণ খাবার খেতে পছন্দ করে। এমনকি মুকেশ আম্বানির বাড়ির চায়ের দাম লক্ষ লক্ষ টাকা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম