।। প্রথম কলকাতা ।।
Chicken Pox: বিদায় নিতে চলেছে শীত (Winter)। বসন্তের আবহাওয়া মনোরম হলেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে নানান অসুখ। যেখানে রয়েছে অতিপরিচিত চিকেন পক্স (Chicken Pox)। বায়ুবাহিত এই ভাইরাসের (Virus) সঙ্গে পেরে ওঠা মুশকিল। বিশেষ করে এর দাগ বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। যদি প্রথম থেকেই ঠিকঠাক কেয়ার না করেন তাহলে আজীবন এই দাগ বয়ে বেড়াতে হবে। চিকেন পক্স হওয়ার সাথে সাথেই নিতে হবে কয়েকটি পদক্ষেপ। একটু সতর্কতার সাথে মেনে চললে দেখবেন পরবর্তীকালে দাগের সমস্যা আপনাকে পোহাতে হবে না। দাগ কিভাবে দূর করবেন সেই চিন্তা না করে দাগ যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাজারে চিকেন পক্সের (Chicken Pox) জন্য অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। সাধারণত চিকেন পক্স ধরা পড়ার প্রায় তিন দিন পর থেকে এই ওষুধ খেতে হয়। এর ফলে খুব একটা ফোসকা তৈরি হয় না। এই ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
(১) চিকেন পক্সের রোগীকে রাখতে হবে আলো বাতাস পূর্ণ একটি ঘরে। খেয়াল রাখবেন সেই ঘরে যেন রোদ প্রবেশ না করে। অন্তত চিকেন পক্স হওয়ার সাত দিন পর্যন্ত এই নিয়ম মেনে চলা উচিত। কারণ সূর্যের আলোতে রয়েছে অতি বেগুনি রশ্মি, যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আলো হাওয়া চলাচল করলেও ঘরে সূর্যের কড়া রোদ প্রবেশ করলে হবে না।
(২) খেয়াল রাখবেন চিকেন পক্সের ফোসকা গুলোতে যেন কোনোভাবে নখ না লাগে। ফোসকা যত শুকাতে থাকে ততই অস্বস্তি বাড়ে। দরকার পড়লে হাতের নখ কেটে ফেলুন। এই ফোসকা চুলকালে আরো মুশকিল।
(৩) বিশেষজ্ঞ দের মতে, সাত দিন স্নান না করা উচিত। যখন ফুসকুড়ি একটু কমবে বা শুকিয়ে যাবে তখন স্নান করা যেতে পারে। ব্যবহার করতে পারেন নিমপাতা সিদ্ধ জল যা অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করবে। তবে এক্ষেত্রে একবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। অনেকেই আছেন যারা বাজার চলতি নানান অ্যান্টিসেপ্টিক কিংবা নিম দেওয়া সাবান ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে কেমিক্যাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
(৪) চিকেন পক্স সেরে গেলেও বাড়ির বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ওই দাগকে আরো গভীর এবং কালো করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। কারণ বাজার চলতি নানান সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। তার মধ্যে কোনটি আপনার সেনসিটিভ ত্বকের জন্য প্রযোজ্য তা বোঝা মুশকিল।
(৫) চিকেন পক্স সারার পরেও অনেক ক্ষেত্রে দাগ থেকে যায়। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া বিভিন্ন উপায় মেনে চলতে পারেন। কাঁচা হলুদ, মধু, নিমপাতা, ডাবের জল এগুলি ব্যবহার করলে দাগ কমে। যদিও তা সময়সাপেক্ষ, কিন্তু এক্ষেত্রে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। অপরদিকে বাজার চলতি যে মলম রয়েছে তাতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে। যে কোন ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম