।। প্রথম কলকাতা ।।
Wedding Venue Rental: বিয়ের মরশুম মানে শুধুই কিন্তু আনন্দ ফুর্তি মজা নয়। একটু বুদ্ধি খাটালে সেখান থেকেই ব্যবসার রসদ খুঁজে নিতে পারবেন। আর যদি আপনি হন ক্রিয়েটিভ মানুষ তাহলে তো সমস্যাই মিটে গেল। বছরের এই বিয়ের মরশুমগুলিতে মাঝারি ইনভেস্টমেন্টেই রোজগার করতে পারবেন দ্বিগুণ কখনও আবার তিনগুণ অর্থ। কাজটা বিরাট কিছু নয়। শুধু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের পছন্দে যেমন পরিবর্তন এসেছে আপনাকেও ঠিক তেমন ভাবেই তাদের বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে হবে। তার জন্য তাদের বেছে দিতে হবে এমন একটি জায়গা যা তাদের বিয়ের জন্য হবে একেবারেই পারফেক্ট। অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে বিয়ের সিজনে শুরু করুন ওয়েডিং ভেনিউ রেন্টিংয়ের ব্যবসা।
ওয়েডিং ভেনিউ রেন্টিং ব্যবসা কী ?
বিয়ের জন্য জায়গা তাও আবার ভাড়া! এই কথাটা শুনলেই একটা কমিউনিটি হলের চিন্তাভাবনা আসে মাথায়। কিন্তু সেই সব দিন এখন অতীত। সবকিছুতেই মানুষ এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন। বিয়ের ক্ষেত্রে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং কিন্তু ভীষণভাবে মার্কেটে ইন। সবার পক্ষে নিশ্চয়ই মলডিভ, গোয়া এই সমস্ত জায়গায় গিয়ে বিয়ে করা সম্ভব নয়। তাই আপনার কাজটি হবে ক্লায়েন্টের সুবিধামতো নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে এমন একটি ভেনিউ খুঁজে বের করা যা বাধা ধরা ছক থেকে একেবারেই বাইরে।
ধরুন সেটা হতে পারে কোন ফার্ম, হতে পারে কোন পুরনো জমিদার বাড়ি, আবার কোন গ্র্যান্ড হোটেল। বিদেশে এই ব্যবসার ভীষণভাবে প্রচলন রয়েছে। এদেশেও ধীরে ধীরে মানুষ তা নিতে শুরু করেছে। অনেকেই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বড় বড় রাজমহলে বিয়ে দেখে মনে ভাবেন যদি তাদের বিশেষ দিনটি এইরকম হয় তবে মন্দ হবে না। আর এটাই হল ব্যবসার জায়গা।
কীভাবে শুরু করবেন ব্যবসা ?
১) সর্বপ্রথম আপনাকে নিজে আয়ত্তের মধ্যে এমন কিছু জায়গা খুঁজে বার করতে হবে যা বিয়ের জন্য একেবারে পারফেক্ট। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কলকাতায় বহু এমন বনেদি বাড়ি রয়েছে যেগুলি যেকোন মানুষকে তাক লাগিয়ে দেবে। কিন্তু এখন তেমনভাবে ব্যবহার হয় না। সেই সমস্ত বাড়িতে বিয়ের আসর বসাতে ইচ্ছুক থাকবেন অনেকেই।
২) আপনার কাজ হবে কোন বনেদি বাড়ি কোন জমিদার বাড়ি ,কোন ফার্ম হাউস কিংবা এমন কোন জায়গা যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে এবং বিয়ের আসর বসার মত যথোপযুক্ত ব্যবস্থা সেখানে করা যাবে, সেই ধরনের জায়গা খুঁজে বের করা। এরপর সেই জায়গার মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা।
৩) সেখানে অবশ্যই মালিকপক্ষ নিজেদের জায়গা ভাড়া দেবেন। কিন্তু সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে আপনার এবং আপনার টিমের কাঁধে। সেই জায়গাটি সম্পর্কে ক্লায়েন্টকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া, জায়গাটিকে ঠিক আপনার টিম কী কী ভাবে ইউনিক করে তুলতে পারে সেই সম্পর্কিত একটা ধারণা দেওয়া এবং প্রয়োজনে ক্লায়েন্টকে সেখানে এনে বিষয়টি বিশদে বোঝানো।
৪) এক্ষেত্রে আপনার ইনভেসমেন্ট বলতে ভেনিউয়ের ভাড়ার কিছু শতাংশ আগেই আপনাকে হয়তো পেমেন্ট করে দিতে হতে পারে মালিককে। এছাড়াও আপনার টিমের খরচ।
প্রথম যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে :
১) সবসময় চেষ্টা করবেন ক্লায়েন্টের বাজেটের মধ্যে এমন জায়গা খোঁজার যা সাধারণ কমিউনিটি হল বা ম্যারেজ হল গুলি থেকে আলাদা হবে।
২) বিয়ের ভেনিউ এর সঙ্গে ক্লায়েন্টের বিয়েতে আসা অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা যদি সেখানে করা যায় তাহলে সোনায় সোহাগা।
৩) ক্লায়েন্টকে ভেনিউ দেখানোর পর সেই venue এর মালিক পক্ষ এবং ক্লায়েন্টের সঙ্গে অবশ্যই চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করবেন
৪) যেকোনো পরিস্থিতিতে মাল্টি টাস্কিং করতে হতে পারে এইরকম চিন্তাভাবনার মানুষদের নিয়ে টিম গঠন করবেন।
৫) অবশ্যই সেই ভেনিউ যেন নিরাপদ হয়।
৬) সর্বশেষ, নব দম্পতি যাতে তাদের বিয়ে বা রিসেপশনের দিনটিকে সারা জীবন একেবারে অন্যরকম হিসেবে মনে রাখতে পারে, তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
এই একদিন কিংবা দুদিনের অনুষ্ঠানের জন্য আপনি ভেনিউ অনুযায়ী চার্জ করতে পারবেন ক্লায়েন্টদের। সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদের পছন্দমত কয়েক লাখ টাকার জায়গা পর্যন্ত নির্বাচন করা যেতে পারে। তাই আজ থেকেই ভাবনা চিন্তা শুরু করুন কীভাবে আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন লাভজনক ওয়েডিং ভেনিউ রেন্টাল ব্যবসার মালিক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম