।। প্রথম কলকাতা ।।
Salman Khan: সাবাশ এই না হলে ভাইজান। আবেগে সিনেমার শুটিংকেও হার মানালেন বাস্তবের সালমান।সালমান খানকে দেখতে দূর থেকে ছুটে আসছে ভক্ত। এদিকে কড়া নিরাপত্তা অভিনেতার। সব কিছু দূরে ঠেলে ছোট্ট ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরলেন ভাইজান। উষ্ণ আলিঙ্গনে বাঁধা পড়লেন দুজনে। ভক্তের সঙ্গে একাত্ম হলেন স্বপ্নের নায়ক। সেই ভালোবাসার কাছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্ঠনী নেহাতই তুচ্ছ। ছোট্ট ভক্তের ভালোবাসার পেতে মৃত্যুভয়কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন দাবাং হিরো। সিনেমার কোনও শুটিং নয়। বাস্তবে কোথায় ঘটলো এমন ঘটনা?
বিমানবন্দরে হঠাৎ দেখা স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে। “ওই তো ভাইজান!” নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে। সব দেখেও ছুটে এলো ছোট্ট ছেলেটি। সালমান কি কথা বলবেন তার সঙ্গে? মনে দ্বিধা কিশোরের। অন্তরে তাঁকে একবার ছোঁয়ার অদম্য ইচ্ছা। তার চোখের ভাষা পড়তে সময় নেননি সালমান। মুম্বই বিমানবন্দর ছাড়ার সময় সালমান খানের এই ভিডিয়োটি শেয়ার হয়। এই দৃশ্য অনুরাগীদের মন কেড়েছে সহজেই। একজন সাধারণ ভক্তের প্রতি তাঁর হৃদয়গ্রাহী আচরণ দেখে মুগ্ধ সকলেই। তিনি উপেক্ষা করতেই পারতেন। পারতেন দূর থেকে হাত নেড়ে নজর ঘুরিয়ে নিতে। কিন্তু এখানেই ব্যতিক্রমী হয়ে থাকলেন বলিউডের ভাইজান। তরুণ অনুরাগীর সঙ্গে কাটালেন জীবনের এক অতি ভালোলাগার মুহূর্ত।
এমন ভক্তকে দেখে বোধহয় মন ভরে গিয়েছিল ভাইজানেরও। অন্ততঃ তাঁর মুখের হাসি সেটাই বলছে। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই ছোট্ট ছেলেটিকে উষ্ণ আলিঙ্গনে বুকের কাছে আগলে নিয়েছিলেন দাবাং অভিনেতা। তিনি বাচ্চাদের বড্ড ভালোবাসেন। একথা আগে অনেকবার বলেছেন তিনি। নানা সময়ে বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে শিশুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে দেখাও গিয়েছে। তিনি যে ছোটদের কতটা ভালোবাসেন তার আরও একবার প্রমান মিললো এই ছবিতে। অভিনেতাকে তাঁর ছোট ভক্তকে উষ্ণ আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরতে দেখে সকলেই মুগ্ধ। ভক্তেরা তাঁর এই হৃদয়গ্রাহী অঙ্গভঙ্গির জন্য অভিনেতার প্রশংসা করছেন মনেপ্রাণে। দাবাং অভিনেতার দেহরক্ষীরাও এ দৃশ্য দেখে অবাক।
কঠোর নিরাপত্তায় তারা আটকাবেন কী, নরম মন তো তাঁদেরও আছে। সকলেই মুগ্ধ নয়নে ভক্তের সঙ্গে তাঁদের ভালোবাসা বিনিময় করেছেন। এরপর তাঁরা সালমান খানকে বিমানবন্দরের ভেতরে নিয়ে যান। নেটিজেনরা সালমন খানের এমন ব্যবহারে উচ্ছ্বসিত। অভিনেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মন থেকে একজন সুন্দর মানুষ সালমান।’ আরেকজনের মত, ‘অসাধারণ সালমান খান। অনবদ্য। তাঁর স্টাইল এবং মন খুবই ভালো।’ কেউবা লিখেছেন, ‘মিস্টার সুদর্শন খান খুবই দয়ালু।’
নিরাপত্তার ঘেরাটোপের বাইরে কয়েক মুহূর্ত নিজের মনের মতো করে কাটাতে তো পারলেন সালমান। পারলেন ছোটদের ভালোবাসায় মনকে রাঙিয়ে নিতে। হোক না কিছুক্ষণ। এই স্মৃতি আজীবন টাটকা থাকবে এই ছোট্ট ভক্তের মনে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম