।। প্রথম কলকাতা ।।
Parliament Security Breach: সংসদ হামলার ঘটনায় তদন্ত যত গভীর হচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এক এক করে প্রকাশ্যে আসছে রহস্যের জট। এই ললিত ঝা, যাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি কীভাবে প্ল্যান করেছিলেন? জানলে আশ্চর্য হতে হয়। হাতে রেখে ছিল দুটো প্ল্যান। একটা প্ল্যান ব্যর্থ হলেই, আর একটা প্ল্যান রেডি ছিল। সবটা জানলে আপনি আশ্চর্য হবেন। এই ললিত ঝা ঠিক কতটা নিখুঁত মাস্টারমাইন্ড ছিল তা বোঝাই যায়। সংসদে হামলার পরিকল্পনা একদিনের নয়, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই আটঘাট বেঁধে কষা হয়েছিল সমস্ত ছক।
এবিপি নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন মামলার প্রধান অভিযুক্ত ললিত ঝাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। স্পেশাল সেলের জিজ্ঞাসাবাদে ললিত জানিয়েছেন, কোনও উপায়ে তিনি তাঁর বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। এ জন্য দুটি পরিকল্পনা করেছিলেন। প্ল্যান এ ব্যর্থ হলেও প্ল্যান বি রেডি ছিল। আসলে, যে কোনও মূল্যে তাঁর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর জন্য ১৩ ডিসেম্বরের জন্য দুটি পরিকল্পনা করা হয়। সংসদে অনুপ্রবেশ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, অমল শিন্ডে, নীলম আজাদ এবং ললিত ঝা রয়েছেন। গুরুগ্রাম থেকে ভিকি নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া মহেশ ও কৈলাশকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্ল্যান এ এবং প্ল্যান বি-তে কী ছিল?
প্ল্যান এ- অনুযায়ী, মনোরঞ্জ ডি এবং সাগর শর্মা সংসদের ভিতরে প্রবেশ করে, কারণ দর্শক তাদের কাছাকাছি ছিল। এই পরিকল্পনার আওতায় ছিল, সংসদের বাইরে পরিবহন ভবন থেকে অমল ও নীলম সংসদের কাছে যাবে এবং সেখানে রঙিন বোমা ফাটাবে। অভিযুক্তরা প্ল্যান এ অনুযায়ী কাজ করেছিল এবং সংসদে প্রবেশের পর মনোরঞ্জন ও সাগর স্মোক বোমা ব্যবহার করে। এই দুই দর্শক গ্যালারি থেকে সরাসরি ঘরে ঢুকে স্মোক বোমা জ্বালিয়েছিল, যার ফলে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
প্ল্যান বি-এর অধীনে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে যদি কোনও কারণে নীলম এবং আমল সংসদের কাছাকাছি পৌঁছতে না পারেন, তবে তাদের জায়গায় মহেশ এবং কৈলাস ওপার থেকে সংসদের কাছাকাছি যাবেন। তারা রঙিন বোমা জ্বালিয়ে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে স্লোগান দেবেন। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর রাতে, যখন মহেশ এবং কৈলাশ গুরুগ্রামে ভিকির বাড়িতে পৌঁছায়নি, তখন যে কোনও মূল্যে এই কাজটি করার দায়িত্ব অমল এবং নীলমকে দেওয়া হয়।
সংসদে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিয়ে লুকিয়ে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন ললিত। এই পরিকল্পনায় মহেশকে রাজস্থানে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। যখন সে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে দিল্লি চলে যায়। মহেশ শ্রমিকের কাজ করে। কৈলাস ও মহেশ মামাতো ভাই। এভাবেই যত তদন্ত হচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম