।। প্রথম কলকাতা ।।
Nail Biting Habits: দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে নখের খুব বেহাল দশা? নখ বড় করতে চেয়েও পারছেন না! মুখে হাত চলে যাচ্ছেই নিজেকে কীভাবে আটকাবেন? ছোটবেলাকার অভ্যেস বদলানো যায়? এটা কি আদৌ কোনও রোগ? কোন ডাক্তার দেখাবেন? বলিউডের সেলেব থেকে সৌরভ গাঙ্গুলির আপনার মতনই অবস্থা অনেক তো চেষ্টা করলেন! এই টিপসগুলো মেনে দেখুন তো ৭ দিনে দাঁত দিয়ে নখ কাটা বন্ধ হবেই। কোনও কিছু চিন্তা করছেন! সাথে সাখে দাঁত দিয়ে নখ খাওয়াও চলছে। নখের শেপ আর কিছু নেই! আঙুলে চামড়া উঠে রক্তারক্তি হলেও হুঁশ ফেরে না। এখনও খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি। নিজেকে কীভাবে আটকাবেন ? জানুন।
কোনও কারণে প্রবল মানসিক চাপ এসে পড়ে যার থেকে সাময়িক স্বস্তি পেতে মানুষ নানা ধরনের কাজ করে থাকে
খেয়াল করে দেখবেন। কেউ একটানা পা নাড়িয়ে চলে কারও ঘাম হয়, আবার অনেকে দাঁত দিয়ে নখ চিবোতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে নখে নেলপালিশ পরে থাকুন তাহলে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে গেলেই নেলপালিশের তেতো স্বাদ মুখে লাগলেই আপনি নখ কাটা বন্ধ করে দেবেন। নখে মাঝেমাঝে ম্যানিকিওর করান। মোটা টাকা খরচা করে সুন্দর নখে দাঁত দিয়ে কেটে ফেলার আগে আপনি নিজেই দুবার ভাববেন। অভ্যাস বদলাতে সময় লাগবে ঠিকই। নেল এক্সটেনশন করতে পারেন যা শক্ত এবং দামিও তাই সহজেই দাঁত দিয়ে নখ কাটতে পারবেন না। আর নেল আর্ট করা খুব সুন্দর নখ কি আপনার খারাপ করে ফেলতে ইচ্ছে করবে?
দাঁত দিয়ে নখ কাটার বদভ্যাস কি সত্যিই কোনও রোগ? আপনি কি তাহলে কোনও রোগে আক্রান্ত? অনেকেরই মনে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। আসলে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন শুনুন। মানসিক চাপের কারণে অনেকেই নখ কাটতেই থাকেন অ্যানজাইটি দাঁত দিয়ে নখ কাটার অন্যতম কারণ। এটিকে মানসিক রোগ বলেই উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে অনিকোফেজিয়া। যাঁদের এই অভ্যাস থাকে মানসিক চাপ বাড়ার সাথে সাথে নখ খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই মনোবিদরা বলছেন মেডিটেশন করুন নিয়মিত মেডিটেশন করলে মন শান্ত হয়, উত্তেজনা, চাপ কমে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, দাঁত দিয়ে নখ কাটা কোনও অভ্যাস নয়। এটা একরকম ডিসঅর্ডার। মানসিক বা সাইকোলজিক্যাল কারণ বললে প্রথমেই আসে প্রবল মানসিক উত্তেজনা। তাই মন শান্ত করতে নিজেকে সময় দিন। তবে ঘাবড়াবেন না। শুধু আপনি নন। সেলেবদের মধ্যেও কিন্তু এই ডিসঅর্ডার দেখা যায়। শাহরুখ খান, করিনা কাপুর খান থেকে শুরু করে সৌরভ গাঙ্গুলি দাঁত দিয়ে নখ কাটেন। দাদাগিড়ির মঞ্চে সৌরভ গাঙ্গুলি নিজেই স্বীকার করেছিলেন অনেকবার। তবে আপনার যদি মনে হয়ে বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। আপনার আচরণ নিয়ে আপনিও অতিষ্ঠ । তাহলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম