।। প্রথম কলকাতা ।।
Shaligrama Shila: শালিগ্রাম শিলাকে নারায়ণ রূপে পুজো করেন হিন্দুরা। কিন্তু এই শালিগ্রাম শিলা আসে কোথা থেকে? ভারতে নয় অন্য দেশের অবদান। কীভাবে তুলে আনা হয় শালিগ্রাম শিলা? শিলা উদ্ধার করতে কি অনেক বড় রিস্ক থাকে? কেন একে নারায়ন বা বিষ্ণু রূপে পুজো করা হয়?
কালো রঙের তো আরও পাথর হয়। তবে শিলাগ্রাম শিলার যেন অন্যই রূপ। চকচকে কালো রঙের এই পাথর যেন দেখেই গায়ে কাঁটা দেয়। তাদের থাকে চক্রর চিহ্ন। কোন রহস্য জড়িয়ে রয়েছে এই শালিগ্রাম শিলার সঙ্গে? ভগবান মহাদেবের প্রতীক হিসাবে পূজিত হন শিবলিঙ্গ। তেমনই ভগবান বিষ্ণুর প্রতীক হিসেবে শালগ্রাম শিলার পুজো। হিন্দুরা মানেন এতেই নারায়নের বাস, তবে যদি বলি শালগ্রাম শিলা আনতে ভারতকে যেতে হয় অন্যদেশে।
এই শালিগ্রাম শিলা মোট ৩৩ রকমের হয়। যার মধ্যে ২৪ ধরনের শালিগ্রাম শিলাকেই নারায়ন রূপে পুজো করা হয়। এছাড়াও শাস্ত্রে রয়েছে মাসে দুটি করে একাদশী হয়ে থাকে । সেই হিসেবে ২৪টি একাদশী ২৪ ধরনের শালিগ্রাম শিলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
এবার আসি এর উৎপত্তিতে। শালগ্রাম শিলা বা Ammonite fossile নেপালের গণ্ডকী বা কালী নদীর এক বিশেষ প্রকারের জীবাশ্ম পাথর। গণ্ডকী নদীর শিলাই আসল শালগ্রাম শিলা। নদীর পাশে ছড়িয়ে থাকে চকচকে কালো এই শিলা। চিরতুষারাবৃত হিমালয় থেকে বয়ে আসে নেপালের এই গণ্ডকী নদী
হিমালয়ের শিলাস্তর পরিচিত “স্পিতি” শেল নামে। কালীগণ্ডকী নদীর জলের তীব্র স্রোতে ওই শিলাস্তরকে ধুয়ে মুছে ভেঙে নিয়ে আসছে এই নদীর জল। স্বচ্ছ অথচ কালো এই নদীর জলের স্রোতে ভেসে আসে স্পিতি। শিলাস্তরের খাঁজে লুকিয়ে থাকা হিমালয়ের বহু প্রস্তরীভূত সামুদ্রিক জীবাশ্ম ও শীলা। শিলাভূত জীবাশ্মর মধ্যে একমাত্র “অ্যামোনাইট ফসিলের” গোষ্ঠীর শিলাভূত জীবাশ্মই হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরম পবিত্র শালগ্রাম শিলা বা নারায়ণ শিলা।
কিন্তু একটা জীবাশ্ম পাথরের সঙ্গে নারায়ন বা বিষ্ণু ভগবানের সম্পর্ক কি? বলা হয়, তুলসি দেবীর অভিশাপে পাথরের রূপ নেন স্বয়ং বিষ্ণু সেই পাথরে থাকে নানা চিহ্ন বা চক্র। এই চক্রচিহ্ন যুক্ত পাথরই আসলে শালগ্রাম শিলা। যেহেতু বিষ্ণুর সঙ্গে এই পাথরের সংযোগ রয়েছে পৌরাণিক উপাখ্যানে। তাই এই পাথরকে আজও নারায়ণ রূপে পুজো করা হয়। আর এই কারণেই শালগ্রামের পুজোয় তুলসী নিবেদন করা হয়। যে কোনো শুভ অনুষ্ঠানই হোক না কেন, নারায়ণ শিলা অবশ্যই লাগে গৃহ প্রবেশ হোক, কি বিয়ে, কি উপনয়ন। শাস্ত্রমতে, কিন্তু এই নারায়ণ শিলায় শক্তিরূপে শবাসনা কোন দেবীর পুজোয় নিষিদ্ধ। স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু এই শিলায় অবস্থান করেন বলে শালগ্রাম শিলায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার দরকার পড়ে না। প্রয়োজন পড়ে না ঈশ্বর কে আবাহন এবং বিসর্জনেরও। অযোধ্যার রামমন্দিরের জন্যও বড় বড় দুটো শালগ্রাম শিলা পাঠানো হয়েছিল নেপাল থেকে।
https://www.facebook.com/100069378195160/posts/701885382134062/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম