।। প্রথম কলকাতা ।।
America China: সাবধান, চীন কিন্তু আড়ি পাতছে! যুক্তরাষ্ট্রের উপর গোয়েন্দাগিরি চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ। তথ্য সংগ্রহের সুযোগ-সুবিধাকে আরো বেশি ডেভেলপ করছে। আড়ি পাতার জন্য কিউবায় এটা কি তৈরি করছে চীন? চীনকে চীনের ভাষায় জবাব দিতে পারবে কি যুক্তরাষ্ট্র? ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটা প্রতিবেদন ঘিরেই যত তোলপাড়। কি বলছে যুক্তরাষ্ট্র? কি বলছে কিউবা? চীন কিন্তু চুপ করে বসে নেই। চীনা গুপ্তচর বেলুনের পর এবার আড়ি পাতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেধে গেল হলুস্থুল কান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ চীন। এই দুই দেশের মাঝে অঘোষিত শীতল যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে কিউবার নাম। কিভাবে? “কিউবা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নজরদারি করছে চীন, অভিযোগ ওয়াশিংটনের” কিউবাকে ঘিরে চীনের গোয়েন্দাগিরির নতুন চেষ্টা নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল।
কি ছিল এই প্রতিবেদনে?
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ফ্লোরিডা থেকে মাত্র ১৬০ কিমি দূরে অবস্থিত দ্বীপ দেশটিতে একটা ইলেকট্রনিক ইভসড্রপিং কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ইভসড্রপিং মানে আড়ি পাতা। এমনকি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে আড়িপাতার জন্য কিউবায় অবকাঠামো নির্মাণে গোপন চুক্তিও নাকি সেরে ফেলেছে চীন, জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই ধরনের গুপ্তচর স্থাপনা তৈরি হলে দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করার সক্ষমতা চীনের হাতে চলে আসবে। ঠিক শুনছেন, মারাত্মক দাবি করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নয়। তারা কি বলছে সেটাও কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলছেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে যেভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে তাদের বোঝাপোড়া মিলছে না। তাঁর দাবি, জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই চীন বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছে। চীনের আড়িপাতা নতুন কোনো খবর নয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে কিউবায় চীন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সরঞ্জামের উন্নয়ন ঘটিয়েছে এবং ওই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ গোয়েন্দা তথ্য আছে।
অন্যদিকে, কিউবা সরকারও ওই প্রতিবেদনের ব্যাপারে ঘোরতর সন্দেহ প্রকাশ করেছে। কিউবার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই প্রতিবেদনকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর চীন? চীন বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পিত ‘গুজব ও অপবাদ ছড়ানোর পাশাপাশি পরনিন্দার’ চেষ্টা হিসেবে দেখছে। পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রকেই ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যাকার’ হিসেবে দেগে দিয়েছে চীন। অতএব, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের খেলা শুরু হয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ‘চীনের নজরদারি বেলুন’ শনাক্ত ও ভূপাতিত করার দাবি করা হয়েছিল। তখনও, ওই ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হয়েছিলো। সেই উত্তেজনা নিরসনে দু পক্ষই সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছে।
আগামী ১৮ জুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চীন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনার রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ঠিক এই পরিস্থিতিতে চীনের বিরুদ্ধে আড়ি পাতার অভিযোগ তুলল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এবার জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম