।। প্রথম কলকাতা ।।
Boni Cooking: পপি কিচেনের পপির চেনানো পথে সাবলম্বী হচ্ছেন কত মহিলা। গ্রামের বউ বলে পিছিয়ে থাকা নয়। লাঞ্ছনা-অপমান মেনে নিয়ে আপোষ নয় । ঘরে রান্না করে কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন পপি। সম্প্রতি ভাইরাল বনি কিচেন ইন ভিলেজ স্টাইলের। দেখে মনে হবে এ যেন পপির মতই । না ভাববেন না তার নকল করেছেন বনি। নিজের দক্ষতায় ধীরে ধীরে এই জায়গায় আসছেন। পপির মতই বনির নামও ঘুরবে আপনার মুখে মুখে । গ্রাম্য পরিবেশে রান্নার ভ্লগ প্রথমে শিখিয়েছিল অ্ন্য আরেকজন। ইউটিউবে যাঁর সাবস্ক্রাইবার ৩০ লক্ষ।
আচ্ছা আপনার প্রিয় কে?
পুরনো দিনের রান্নার রেসিপি তা গ্রাম্য পদ্ধতিতে রান্না করা। তা হতে পারে নিত্যনতুন আইটেম থেকে প্রতিদিনের খাবার । সবুজ ঘেরা চারিপাশ সঙ্গেই আগেকার দিনের মতো মাটিতে পাতা উনুন, পরিবেশটাই যেন অদ্ভুত সুন্দর। তার সঙ্গেই মনমাতানো সব খাবারের আইটেম। পুকুরের পাশে মাটির রান্নাঘরে সকলে উনুনে রান্না। পপির ভিডিও দেখলেই মন ভরে যায় সকলের।এভাবে পপির মতই সকলের সঙ্গে নিজের রেসিপি । শেয়ার করতে এগিয়ে আসছেন বনির মতো মেয়েরা। ঠিক পপির মতো স্টাইলে মাথায় ঘোমটা অনেকেই এই ভিডিও দেখে বলবেন পপির নকল করছেন। কিন্তু আসলে তা নয়। আসলে পপির দেখানো রাস্তায় চলতে চাইছেন বনি। এরকম আরও কত ভ্লগার বেছে নিচ্ছেন পপির স্টাইলকেই । কিন্তু পপির আগেও একটি চ্যানেল রাজত্ব করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি কে জানেন?
৮৪ বছরের ইউটিউব তারকা পুষ্পরানি সরকার। তাঁর করা রান্নার জনপ্রিয়তা শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বে। এমনকি, চিনের মানুষও ফলো করেন ভিলফুড ইউটিউব চ্যানেলটি। বাংলার ঠাকুমা পুষ্পরানি সরকারের ইউটিউব চ্যানেল ভিলফুড। যেই চ্যানেলের মাস্টার শেফ ৮৪ বছরের এই ঠাকুমা ।
২০১৭ সালে পুষ্পরানির নাতি সুদীপ সরকার খুলেছিলেন এই ইউটিউব চ্যানেল। আর প্রথম যে ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছিল তাতে রান্না করা হয়েছিল কুমড়োফুলের বড়া। খড়ের ছাউনি দিয়ে ঘেরা রান্নাঘরে, শীল-নোড়ায় পেষা মশলা আর বাগানের সবজি। নিজের পুকুরের মাছ দিয়ে রান্না করেন । পুষ্পরানিকে সাহাশ্য করেন তাঁর বউমাও।বাংলার নানা হারিয়ে যাওয়া রান্না নিয়ে ভিডিয়ো বানাতে শুরু করেন। ইলিশ থেকে কাতলা,কুমরো শাক, লাউ শাক। আমেরিকার বাসিন্দারাও ফলো করেন পুষ্পরানির রান্না।বছরে ১০ লক্ষ টাকা প্রথম দিকে আয় হতো পুষ্পরানির । এখন তা আরও বেড়েছে। ভিল ফু়ের পর একে একে পপি কিচেন থেকে ইউটিউব চ্যানেল ট্র্যাডি স্বাদের পথচলা শুরু।
শহর থেকে গ্রাম এখন শুধুই নিজেদের পারদর্শিতা নিয়ে হাজির থাকছেন সকলেই।এমন সুন্দর পরিবেশ এবং রান্নাঘরের ঝলক এখন শহরাঞ্চলে মেলে না।শীতকালে একটু খোলা জায়গা, রোদেলা হলে ভাল হয়, বর্ষায় চালা থাকতে হবে। প্রথমদিকে খুব একটা ভিউজ আসত না, তবে মন খারাপ করেননি কেউই, নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।এভাবেই ভিলফু়ডের ঠাকুমার মতো পপি, বনিরা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম