।। প্রথম কলকাতা ।।
Protein: আপনি যদি দিনের পর দিন প্রোটিনযুক্ত খাবার না খান তাহলে মহা বিপদে পড়বেন। কারণ প্রোটিন মানব শরীরে বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি প্রোটিন (Protein) জাতীয় খাবারকে একটু অবহেলা করেন, তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। পেশী, ত্বক, হরমোন, চোখ, চুল এবং কোষ গঠনের জন্য অন্যতম উপাদান প্রোটিন (Protein)। অতিরিক্ত নয়, পরিমিত পরিমাণে অল্প অল্প করে প্রোটিন খেতে হবে, তবেই শরীর লাভবান হবে। বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) বাড়াতে প্রোটিনের জুড়ি মেলা ভার। কম বেশি প্রত্যেক মানুষের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা আলাদা আলাদা। সাধারণত বয়স এবং শারীরিক গঠন অনুযায়ী প্রোটিনের চাহিদায় পার্থক্য রয়েছে। তাই কতটা প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন তা জানা জরুরি।
প্রোটিন কেন জরুরি?
রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার কিংবা অ্যান্টিবডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন ছাড়া শরীর পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে না। প্রোটিন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলির মধ্যে একটি । যা পেশী তৈরি করার সময় কোষের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি আপনার অনাক্রম্যতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রোটিন গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি এবং এগুলি অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও এটি যে কোনও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। কোনো খাদ্যে পর্যাপ্ত প্রোটিন না থাকলে, শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হবে না, যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কারণ মানব শরীর তখন আক্রমণকারীদের সাথে লড়াই করার জন্য একেবারেই প্রস্তুত থাকবে না।
কতটা প্রোটিন যুক্ত খাবার খাবেন ?
একজন ব্যক্তির প্রতিদিন প্রতি কেজি শরীরের ওজনে কমপক্ষে ১ গ্রাম প্রোটিন খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে খাবারের মাধ্যমে প্রায় ৬০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। শীতকালে ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথার মতো সমস্যাকে রুখতে নানান বীজ, বাদাম, মসুর ডাল, দুগ্ধজাত পণ্য, মুরগির মাংস, ডিম এবং মাছের মতো খাবার খাওয়া উচিত যা প্রোটিন সমৃদ্ধ।
প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে কাকে বাছবেন ?
প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন সি, ডি, এ, ই এবং কিছু খনিজ যেমন জিঙ্ক, কপার ,ম্যাগনেসিয়াম এবং অবশ্যই ওমেগা ৩ ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ, কাজু, ছোলা এবং মাছের মতো খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এটি একটি অপরিহার্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, জিঙ্কের অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে বলে বলা হয়, যা ভাইরাসের সংখ্যাবৃদ্ধি বা গুরুতর সংক্রমণের ক্ষমতা কমাতে পারে।যদি একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের জন্য দায়ী বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজগুলির দিকে তাকান, তাহলে ভাল অনাক্রম্যতার জন্য ভিটামিন সি – প্রথম সারিতে রাখুন।
২০২১ সালের মে মাসে তেলেঙ্গানার নিজামস ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এনআইএমএস) এবং গান্ধী হাসপাতালের চিকিৎসকদের দ্বারা স্থানীয় কোভিড পজিটিভ রোগীদের উপর ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি ইঙ্গিত দেয়, কোভিড পজেটিভ চিকিৎসার নানান প্রোটোকলগুলিতে ভিটামিন ডি যুক্ত করা রয়েছে। তাই ওমিক্রনের লহর থেকে বাঁচতে ভিটামিন কিংবা প্রোটিনযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় না রাখলে আপনি মহা বিপদে পড়বেন। আপনার শরীরে যদি কোন সমস্যা থাকে কিংবা কোন রোগে ভোগেন তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নিন। আপনার কতটা প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত তা চিকিৎসকরাই বলে দেবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম