।। প্রথম কলকাতা ।।
Use of Refrigerator: কর্মব্যস্ত জীবনে ফ্রিজ (Refrigerator) না থাকলে অনেকেই হয়ত বেশ বিপাকে পড়তেন। অনেকেই আছেন যারা রীতিমত এক সপ্তাহের বাজার করে ফ্রিজে জমা করেন। আবার কেউ বা ২ থেকে ৩ দিনের খাবার একসঙ্গে রান্না করে রাখেন। ভাবেন বাড়িতে ফ্রিজ তো রয়েছে, তাহলে আর চিন্তা কি! মাছ, মাংস, সবজি, বিভিন্ন রান্না করা খাবার থেকে শুরু করে অনেকে শীতের ক্রিম পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে দেন। অনায়াসে রেখে দেওয়া যায় নানান ওষুধ। ফ্রিজ (Refrigerator) যে কত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ফ্রিজে কতদিন খাবার রাখা নিরাপদ? আপনি নিশ্চয়ই একবার খাবার রান্না করে সাত দিন ফ্রিজে রাখতে পারবেন না। যদি এমনটা করে থাকেন বা করার কথা ভাবেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই পড়ুন। কারণ ফ্রিজে বেশিদিন খাবার রাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
(১) ভাত, ডাল ফ্রিজে সংরক্ষণ করা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার, তবে এই দুটি জিনিস ফ্রিজে বেশিদিন রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। বেঁচে যাওয়া ভাত ফ্রিজে রেখে, আবার পুনরায় গরম করে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। কারণ ভাতের মধ্যে স্টার্চ থাকে, এর ফলে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। দু’বারের বেশি ফ্রিজের ভাত খাওয়াকে এক্কেবারে না বলে দিন।
(২) ফ্রিজে ডাল রাখার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। ভালোভাবে ডাল সংরক্ষণ না করলেই সেই ডাল খাওয়া উচিত নয়। যদি ডাল ফ্রিজে রাখতে হয় তাহলে অবশ্যই এয়ার টাইট পাত্রে রাখবেন।। যতটা প্রয়োজন ততটা গরম করে খাবেন। বাকিটা আবার একই ভাবে রেখে দেবেন। বারংবার গরম করে আবার ফ্রিজে ঢোকানোর ভুল করবেন না। সেক্ষেত্রে শরীরের জন্য ভালো হবে না।
(৩) ফ্রিজে সবজির তরকারি তিন দিনের বেশি রাখবেন না। চেষ্টা করবেন বড়জোর দু’দিন পর্যন্ত রাখার। তরকারি বেশ কয়েকদিন ফ্রিজে রাখলে পুষ্টি গুণ কমতে থাকে। বিশেষ করে যে সবজি গুলিতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি সেই সবজি একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নেবেন।
(৪) যদি ফ্রিজে ডিমের তরকারি রাখেন তাহলে তা ভুলেও পুনরায় গরম করবেন না। এর ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়াও মাছ মাংসের মতো খাবার এক থেকে দুই দিনের বেশি ফ্রিজে রাখবেন না। কারণে এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে।
(৫) অনেকেই রাতে বেঁচে যাওয়ার দু একটি রুটি অনায়াসে ফ্রিজে রেখে দেন। তবে খেয়াল রাখবেন ফ্রিজে রুটি রাখার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কিন্তু তা খেয়ে ফেলতে হবে। আরো ভালো হয় যদি রুটির গায়ে একটু ঘি ব্রাশ করে ফ্রিজে রাখেন। এর ফলে ঘি রুটির মধ্যে আদ্রতা ধরে রাখবে।
(৬) যদি কাঁচা সালাদ সরাসরি ফ্রিজে রাখেন তাহলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। ফ্রিজে সালাদ রাখার অভ্যাস একটু এড়িয়ে চলুন। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সালাদ বানান। সালাদ সব সময় টাটকা খাওয়াই উচিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম