।। প্রথম কলকাতা ।।
তীরে এসে তরি ডুবল ভারতের। অপেক্ষা বাড়ল ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। সবরমতীর তীরে স্বপ্নভঙ্গ রোহিত-কোহলিদের। ১০ ম্যাচে ১০টিতেই জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত। সেই ভারতই মুখ থুবড়ে পড়ল ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। গোটা বিশ্বকাপে যে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করেছে যে ভারতীয় ব্যাটিং দুমড়ে-মুষড়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষকে সেই ভারতীয় ব্যাটিং-ই মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে এসে বিপর্যয়ের মুখে পড়ল। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল শামি বুমরাহদের সুইং। আজ ২০০৩-এর বদলা নিতে মরিয়া ছিল টিম ইন্ডিয়া। বদলা অধরাই থেকে গেল, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করলেন ট্রেভিস হেড। ২৪১ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামেন অজিরা। তবে ১ ওভার ১ বলেই ডেভিড ওয়ার্নার আউট হন। ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মহম্মদ শামি। জশপ্রীত বুমরাহের প্রথম বলে ওয়ার্নারের ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া করেন কোহলি ও শুভমান। প্রথম ওভারেই ১৫ রান দেন বুমরাহ।প্রথম ওভারের ব্যর্থতা ভুলে ফের দুর্ধর্ষ বোলিং করা শুরু করেন বুমরাহ। ব্যর্থতা যা ছিল তা উসুল করে দেন জসপ্রীত বুমরাহ। অজিদের সজোরে বড় ধাক্কা দেন বুমরাহ। ওয়ার্নারের পর বুমরাহর বলে আউট হন মিচেল মার্শ। তারপরেই ৭ ওভারে স্টিভ স্মিথকে ফিরিয়ে চাপ আরও বাড়িয়ে দেন বুমরাহ।
৮ ওভার ৪ বলে অস্ট্রেলিয়া চার মারার আগেই চোখ বন্ধ করে নেন বুমরাহ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত স্কোরবোর্ডে ২৪০ তোলে। সব উইকেট হারিয়ে পুরো পঞ্চাশ ওভার-ই ব্যাটিং করে ভারত। টুর্নামেন্টে প্ৰথমবারের মত ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ অলআউট হল। টসে জিতে বোলিং নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যথারীতি রোহিত শর্মা স্লো পিচেও ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। শুভমান গিল সাত তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান। বিরাট কোহলি যথারীতি মিডল অর্ডারের ব্যাটিংকে নির্ভরতা দেন, তবে রোহিতকে আউট হতে হয় টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ক্যাচে। ট্র্যাভিস হেডের ক্যাচে হিটম্যান ফিরতেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুর্দশা শুরু হয়। রোহিত আউট হওয়ার পরের ওভারেই ফেরেন শ্রেয়স আইয়ার। পাওয়ার প্লেতে ভারত ৮০ তুললেও হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট।
১৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান করে। ১৯ ওভার ১ বলে ১০০ সম্পন্ন করে অস্ট্রেলিয়া। অনেকেই বলেছিল দাবি ছিল হেডকে না আউট করতে পারলে ভারতের জেতা মুশকিল কারণ হেড হলেন এমন এক ব্যাটার যিনি যে কোনও অবস্থায় ম্যাচ বের করে আনতে সক্ষম সেটাই প্রমাণিত হয়ে গেল। ২৪১ রান করে জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া। ট্রেভাস হেড করলেন ১২০ বলে ১৩৭ রান। শেষে ট্রেভাস হেড আউট হন সিরাজের বলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম