।। প্রথম কলকাতা ।।
Honey: খাঁটি ভেবে নামী ব্রান্ডের মধু তো কিনেছেন, সেই মধু খাওয়ার নামে আদতে বিষ খাচ্ছেন না তো! মধুতে যেসব উপাদান সহনশীলতার মধ্যে থাকার কথা নামি কোম্পানির দামি মধুতে সেসব বেশি পরিমানে নেই তো? থাকলে কিন্তু শরীরের জন্য তা বেশ ক্ষতিকর। শুধুমাত্র আপনাদের সচেতন করতেই এই প্রতিবেদন। মধুর যে প্রচুর গুণাগুন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু আপনার ঘরে থাকা মধুর গুণমান যথাযথ তো?
জানতে হলে তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। সাধারণ মানুষের পক্ষে তা করানো সম্ভব নয়। নামি কোম্পানির ওপর বিশ্বাস ও ভরসা রেখেই বেশি দাম দিয়ে মধু কিনি আমরা। কিন্তু সেই বিশ্বাসটা এবার নড়ে যেতে বসেছে। কারণ ভারতের একটি বেসরকারি চ্যানেল সামনে এনেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই চ্যানেল তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, দুটি নামী কোম্পানির মধুর ল্যাবরেটরির টেস্ট রিপোর্ট। তাতে মধুর মধ্যে একটি উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতির কথা সামনে এসেছে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই যে মধু খাচ্ছেন তা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর, নাকি তা বিষের সমতুল সেই প্রশ্ন উঠছেই।
মধুতে থাকে হাইড্রক্সি মিথাইল ফুরফুরাল বা এইচ এম এফ। যার মাত্রা বেশি হলে শরীরের পক্ষে তা বিশেষ ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। দুটি সংস্থার মধুতেই তার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এই এইচ এম এফ কি? এইচ এম এফ একটি অর্গানিক কম্পাউন্ড যা বেশ কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবারে পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ মধুতে এইচ এম এফ কেজিপ্রতি পনেরো মিলিগ্রাম পর্যন্ত থাকে।মধু ছাড়া ডেয়ারি এবং বেকারি প্রোডাক্টেও এইচ এম এফ পাওয়া যায়।
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী মধুতে এইচ এম এফের পরিমাণ চল্লিশ মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। গরম আবহাওয়ায় যদি মধু তৈরি হয় তাহলে কেজি প্রতি মধুতে এইচ এম এফ আশি মিলিগ্রামের ওপরে চলে যায় আমেরিকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়ো টেকনোলজির রিসার্চ অনুযায়ী মধু খুব পুরনো হয়ে গেলে এইচ এম এফের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্রসেসিংয়ের সময় যদি মধুকে খুব গরম করা হয়, যদি মধুতে ময়েশ্চার কম থাকে, যদি মধুকে সঠিকভাবে স্টোর না করা হয় তাহলেও এইচ এম এফ বাড়ে। এছাড়া মধুতে যদি চিনি মেশানো হয়, বা মধুকে কোনও ধাতব পাত্রে রাখা হয় তাহলেও তা বাড়তে পারে। তাই ফিট অ্যান্ড হেলদি থাকতে যে মধু পান করছেন তা কতটা স্বাস্থ্যকর সে প্রশ্ন তাই থেকেই যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম