।। প্রথম কলকাতা ।।
Delhi High Court: বিবাহ বিচ্ছেদের (Divorce) ক্ষেত্রে হিন্দু দম্পতিকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া বিবাহ বিচ্ছেদ নেওয়া যাবে না। এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। পারস্পরিক সম্মতির পরেও বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন।
‘লাইভ হিন্দুস্তান’ এর তথ্য অনুযায়ী, এক দম্পতি পারস্পরিক সম্মতিতে ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে আদালতের বাইরে বিবাহ বিচ্ছেদের চুক্তি অনুমোদন করতে বলেছিল, কিন্তু তা অস্বীকার করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব শচদেবা এবং রজনী ভাটনগরের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই হিন্দু এবং তাদের বিবাহ হয়েছে হিন্দু আচার অনুষ্ঠানের সমস্ত নিয়ম মেনে। এই অবস্থায় আদালতে না গিয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে মাত্র ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে তৈরি বিবাহ বিচ্ছেদের সার্টিফিকেটের কোন গুরুত্ব কিংবা যৌক্তিকতা নেই। এইভাবে পারস্পারিক সম্মতিতে তৈরি নথি হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে আসে না। সেক্ষেত্রে কোন পক্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করুক বা না করুক, আদালতের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে।
হাইকোর্ট জানায় সব তথ্য সামনে রেখে বর্তমান মামলায় দম্পতির পারস্পরিক সম্মতিতে প্রাপ্ত বিবাহ বিচ্ছেদের কোন আইনি অর্থ নেই। যদিও স্বামীর পক্ষের উপস্থিত আইনজীবী যুক্তি দেখিয়েছেন যে ওই দম্পতি পারস্পারিক সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ করেছেন। স্বামীর পক্ষ থেকে পারস্পরিক সম্মতি উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২২ এর মে মাসে বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রীকে প্রতি মাসের ৭ হাজার টাকা ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পারিবারিক আদালত। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে স্বামী দ্বারস্থ হন হাইকোর্টে। যেখানে তিনি যুক্তি দেন তার মাসিক আয় মাত্র ১৫ হাজার টাকা। তার পক্ষে স্ত্রীকে মাসিক ৭ হাজার টাকা ভরণপোষণ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি এই যুক্তি দেখিয়ে পারিবারিক আদালতের আদেশ স্থগিত করতে চেয়েছিলেন।
অন্যদিকে স্ত্রী হাইকোর্টে জানান, তার স্বামী একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবং মাসে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা আয় করেন। সেক্ষেত্রে তিনি পারিবারিক আদালতে এই যুক্তি দেখিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ভরণপোষণের দাবি করেছিলেন। আপাতত হাইকোর্ট পারিবারিক আদালতের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। পারিবারিক আদালতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বামীকে তার স্ত্রীকে প্রতি মাসে ভরণপোষণ হিসেবে দিতে হবে ৭ হাজার টাকা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম