।। প্রথম কলকাতা ।।
Manu Mukherjee: বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ তিনি। অতীতে কলকাতার জনপ্রিয় মঞ্চগুলি তাঁর অভিনয়ের সাক্ষী রয়েছে। আজও ‘মছলিবাবা’ মনু মুখোপাধ্যায়ের আসল নামটাই অনেকের কাছে অজানা। অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন নারী চরিত্রে কাজ করে। নিজের নেশাকে পেশা বানিয়েছিলেন এই ব্যক্তি।
বাবা অমরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বড় ছেলে সৌরেন্দ্রমোহনের জন্ম ১৯৩০-এর ১ মার্চ। অভিনয় দুনিয়ার লাইম লাইটে চাপা পড়ে গিয়েছে তাঁর নাম। জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মনু মুখোপাধ্যায় পরিচয়েই। বলতে গেলে, বাবার থেকেই পেয়েছিলেন অভিনয় প্রতিভা। ১৯৫৭ সালে ‘শ্রীরঙ্গম থিয়েটার’-এ প্রম্পটার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন এই অভিনেতা। পরে ‘শ্রীরঙ্গম থিয়েটার’ নাম পরিবর্তন করে হয় ‘বিশ্বরূপা’। রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজ থেকে আই এ পাস করার পর, অভিনয়ে মন দেন তিনি। কলকাতার থিয়েটার মহলে প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে নাম আসে তাঁর। ‘সারকারিনা’, ‘সুজাতা সদন’, ‘মিনার্ভা’, ‘স্টার থিয়েটার’-এর মতো নামী মঞ্চগুলি তাঁর অভিনয় প্রতিভার সাক্ষী রয়েছে।
বড় পর্দায় যাত্রা আরম্ভ করেন কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহশিল্পী হিসেবে। তাঁর প্রথম ছবি মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘নীল আকাশের নীচে’। এরপর ‘উত্তরায়ণ’, ‘নায়িকার ভূমিকায়’, ‘মর্জিনা আব্দুল্লাহ’, ‘সোনার খাঁচা’ সহ একাধিক ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় প্রথম ‘অশনি সঙ্কেত’ ছবিতে দেখা যায় তাঁকে। মনু মুখোপাধ্যায় এমন একজন ব্যক্তিত্ব, এমন একজন অভিনেতা, যিনি পর্দায় আসলে নায়ক-নায়িকাদের থেকে নজর সরে যেত।
সব ধরনের ছবিতে নিজের অভিনয় প্রতিভা দেখিয়েছেন তিনি। ‘দাদার কীর্তি’, ‘মৃগয়া’, ‘ফুলেশ্বরী’র মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর অভিনয় জীবনে দর্শকদের কাছে তিনি হয়ে রয়েছেন ‘মছলিবাবা’ নামে। ১৯৭৯-তে সত্যজিৎ রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এ ভণ্ড সাধুর চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই ছবিতে তাঁর চরিত্রই সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। ২০২০’র আজকের দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর চলে যাওয়া চলচ্চিত্র জগতের জন্য বড় ক্ষতি। সকলের জন্য তিনি রেখে গিয়েছেন তাঁর অভিনয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম