।। প্রথম কলকাতা ।।
তেল-ঝাল মশলা দিয়ে কষিয়ে মুরগির মাংস তো খেয়েছেন কিন্তু মুরগির পায়ের পাতা কেউ আবার খায় নাকি! এমন ধারণা থাকলে এখনই বদলে ফেলুন! রোজ গাদাগাদা ওষুধ খেতে হবে না। হার্ট অ্যাটাক থেকে হাঁটুর ব্যাথা ঘায়েল করতে মুরগির পায়ের পাতাই মোক্ষম অস্ত্র। পায়ের আঙ্গুলগুলোই যে পুষ্টিগুণে ভরপুর শরীর নয়! পায়ের ডার্ক মিটে এমন কী আছে? যা দিয়ে নতুন জীবন পেতে পারেন শুধু পোষ্যর খাবার ভেবে ভুল করছেন মুরগীর শরীরের এই অংশ উচ্চবিত্ত বহু বাংলাদেশী নিয়মিত খান। আগুনে ঝলসে নাকি সেদ্ধ? পায়ের পাতা রান্না করতে গেলে এটা মনে না রাখলে কিন্তু বড় লস।
ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কট! হাহাকার! মাংস কিনে খাওয়ার কারোর ক্ষমতা নেই। শরীরে পুষ্টি জোগাতে মুরগির পা রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল মিশর সরকার। এমন কী গুণ রয়েছে ? বেশিরভাগ লোকজনই মুরগির পা খায় না, ফেলে দেন কিন্তু আপনার পুরনো হাড়ে প্রাণ আনতে পারে মুরগীর পায়ের পাতা, আঙ্গুল পায়ে মাংসেরৎপরিমাণ কম ও চামড়া বেশি থাকে। তাই এই অংশটাকেই বলা হচ্ছে ডার্ক মিট। এর মধ্যে থাকা কোলাজেন আপনার হাড়ের সব সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে। অস্টিওআর্থারাইটিস থাকলে মুরগির পায়ের পাতাই ওষুধ। টিস্যুকে নতুন প্রাণ দেয়। কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ৩০ -র পর থেকেই মহিলারা কমবেশি হাড়ের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য ওষুধের চেয়ে কম কিছু নয়।
গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত ১০২ জন মহিলার উপর ১ বছর লক্ষ করে দেখা গিয়েছে কোলাজেন হাড়ের ক্ষয় রোধ করে দিচ্ছে। অনেকেই ভাবছেন এই চামড়া সমত মুরগীর পায়ের পাতা কীভাবে খাবেন! কীভাবেই বা এটিকে রান্না করে? পায়ের নখগুলোকে কী করবেন? চামড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তবে রেখে দিতে খেতে হবে এমন নয় চাইলে ফেলেও দিতে পারেন। যেভাবে মাংস রান্না করা পেঁয়াজ রসুন দিয়ে সেভাবেই রান্না করা যায় মুরগীর পায়ের এই অংশ। আবার বেসন দিয়ে পকোরা করে ভেজেও খেতে পারেন। তবে তেল-ঝাল মশলা দিয়ে কষিয়ে এই মাংস খেলে কোনও লাভ নেই। সেদ্ধ করে খেলেই আসল উপকার। তবে রান্নার আগে আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে ভালোভাবে পরিস্কার করে তবেই খাবেনৎকারণ পায়ের পাতায় রোগ জীবাণু থাকতে পারে।
গত মার্চ মাসে বাংলাদেশে মুরগীর মাংসের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। সেসময় মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত মানুষরাও নিয়মিত মুরগীর পায়ের পাতা কিনে খেতেন। সব মাংস বিক্রেতাদের কাছেই গিয়ে বললে আপনাকে অনেক কমদামে দিয়ে দেবে এই অংশ। মন চাইলে তবেই খাবেন। নাহলে কোনও কাজেই লাগবে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম