।। প্রথম কলকাতা ।।
নির্বাচনের আগে আটঘাট বেঁধে ছক কষছেন শেখ হাসিনা। বিপদে আওয়ামী লীগের সদস্যরাই। কোনরকম উল্টোপাল্টা বরদাস্ত নয়। বাংলাদেশের নির্বাচনে পশ্চিমা কূটনীতিকদের এত দৌড় ঝাঁপ কেন? তাহলে কি তলে তলে চলছে ষড়যন্ত্র? সেই ষড়যন্ত্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। কেমন হবে? শেখ হাসিনা আগে থাকতে কোন প্ল্যান কষছেন? দিলেন চরম হুঁশিয়ারি। নৌকার বিরোধিতা করলেই রাজনীতি শেষ। বাংলাদেশের মসনদে সহ্য করবেন না পুতুল সরকার।
কিছু পশ্চিমা শক্তি চাইছে বাংলাদেশকে হাতে রাখতে। লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশে থাকবে পুতুল সরকার। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সহজে। চলবে পোষ্য সরকারের রাজ। কিন্তু এমনটা কিছুতেই হতে দেবেন না। দাবি শেখ হাসিনার। আশঙ্কা, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেকে বানচাল করে দিতে পারে। বাংলাদেশে পরাধীন সরকার আনতে চলছে ষড়যন্ত্র। কিন্তু এতে লাভ কি? দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট্ট দেশটাকে হাতের রাখতে পারলেই কিন্তু কেল্লাফতে। ভূরাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি থেকে শুরু করে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানা পাওয়া কোনো ব্যাপারই না। তাই কি এমন আশঙ্কা? তবে শেখ হাসিনা স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। চাইছেন সুষ্ঠু নির্বাচন। জরিপ করে জাতীয় সংসদের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন। তার ভিত্তিতেই দেওয়া হবে মনোনয়ন। শুধুমাত্র মুখ দেখে মনোনয়ন দেবেন না। যাদের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে তারাই পাবেন মনোনয়নপত্র। শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে কারোর কোন দায়িত্ব নেবেন না। প্রার্থীদের জিততে হবে নিজেদের দ্বায়িত্বে। বাড়াতে হবে জনসংযোগ। দলের অভ্যন্তর কোন্দল নয়, বরং কাজ করতে হবে একসঙ্গে।
যদিও শেখ হাসিনার এমন হুঁশিয়ারি প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার দিয়েছেন। একই কথা শোনা গিয়েছে গতবারের নির্বাচনেও। গত নির্বাচনেও অভিযোগে আঙুল উঠেছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দিকে। মানবাধিকারের এই সংগঠন নাকি বাংলাদেশে পুতুল সরকারের বসাতে চায়। তাই প্রচার চালাচ্ছে অপরাধীদের পক্ষে। এবার ঠিক একই অভিযোগ উঠছে পশ্চিমাদের দিকে। দলের কেউ নৌকার বিরোধিতা করলেই তার রাজনীতি শেষ, অর্থাৎ দলের মধ্যে কোন ঘুন নয়। কাজ করতে চাইছেন একজোট হয়ে।
আচ্ছা ভোট ভন্ডুল করে পশ্চিমারা চাইছে টা কি? এমনটা কি আদৌ সম্ভব? চারিদিকে ওত পেতে রয়েছে জাতীয় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা। শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেছেন, এবারের নির্বাচন ২০১৪ কিংবা ২০১৮ এর মতো হবে না। সবাইকে যেতে হবে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। পশ্চিমা শক্তিগুলোর লক্ষ্যও একই। তাই নির্বাচন বানচাল অতটাও সহজ নয়।
দেখুন বাংলা দেশের নির্বাচন এখন পশ্চিমা বিশ্বের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু। পিছানো যাবে না, আবার বেশি এগোলে মুশকিল। মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । এক চুল এদিক-ওদিক হতে দেবে না। সামান্য গন্ডগোল হলেই ফুঁসে উঠবে। তার উপর ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির কেন্দ্রস্থলে আছে বাংলাদেশ। তাই তো নির্বাচনের দিকে পাখির চোখ সবার। তবে মনে রাখতে হবে নির্বাচন মানেই শুধু পছন্দের প্রার্থীকে জেতানো নয়, একরাশ প্রত্যাশা পূরণ। আগামী বছরগুলো ভালো থাকার আশ্বাস। নির্বাচনে অবশ্যই রাজনীতি থাকবে, কিন্তু জনগণের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটাই কাম্য।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম